BLO Duty: শিক্ষকদের BLO ডিউটি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! কারা যোগ্য এবং কারা নন? নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা

BLO Duty West Bengal: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধীনস্থ শিক্ষকদের বুথ লেভেল অফিসার (BLO) ডিউটি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এই নির্দেশিকাটি শিক্ষকদের মধ্যে থাকা বিভিন্ন বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আনা হয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কারা এই ডিউটির জন্য যোগ্য এবং কারা নন। আসুন, এই নতুন নির্দেশিকাটির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
নতুন নির্দেশিকার মূল বিষয়বস্তু
নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশিত এই নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, এখন থেকে সমস্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের BLO ডিউটিতে অংশ নিতে হবে। তবে, এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্তাবলী আরোপ করা হয়েছে, যা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন ছিল। এই নির্দেশিকা সেই সমস্ত প্রশ্নের অবসান ঘটিয়েছে।
কারা BLO ডিউটির জন্য যোগ্য?
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিম্নলিখিত শিক্ষকরা BLO ডিউটির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন:
- সরকারি স্কুলের শিক্ষক: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তর এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধীনস্থ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সমস্ত শিক্ষক।
- নিয়মিত বেতন: যে সমস্ত শিক্ষক নিয়মিত মাসিক বেতন পান, যার মধ্যে মহার্ঘ ভাতা (DA) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- পেনশনযোগ্য চাকরি: শিক্ষকদের চাকরি পেনশনযোগ্য হতে হবে।
এই শর্তগুলো পূরণ করলে, শিক্ষকদের BLO ডিউটি করা বাধ্যতামূলক।
কারা BLO ডিউটির জন্য যোগ্য নন?
কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষকদের BLO ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিম্নলিখিত শিক্ষকরা এই ডিউটির জন্য যোগ্য নন:
- রাজনৈতিক সম্পর্ক: যে সমস্ত শিক্ষকের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে বা রাজনৈতিক পরিচয় বহন করেন, তাদের এই ডিউটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
- অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক: অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও BLO ডিউটির জন্য বিবেচিত হবেন না।
- পার্শ্বশিক্ষক (Para-teachers): পার্শ্বশিক্ষক বা অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষকরা, যারা মহার্ঘ ভাতা (DA) পান না, তাদের এই নির্দেশিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্দেশিকার উদ্দেশ্য ও প্রভাব
এই নতুন নির্দেশিকাটি আনার মূল উদ্দেশ্য হলো BLO ডিউটি সংক্রান্ত সমস্ত অস্পষ্টতা দূর করা এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া তৈরি করা। এর ফলে, এখন থেকে যোগ্য শিক্ষকদের নির্বাচন করা আরও সহজ হবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে। শিক্ষকদের জন্যেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা, কারণ এর মাধ্যমে তারা নিজেদের দায়িত্ব ও যোগ্যতা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানতে পারবেন। এই পদক্ষেপের ফলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বুথ স্তরের কাজ মসৃণভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে এবং ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।