Child Aadhaar Update: এবার স্কুলেই হবে শিশুদের আধার বায়োমেট্রিক আপডেট, সরকারের নতুন উদ্যোগ

Child Aadhaar Update: ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) শিশুদের আধার কার্ড আপডেট প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন থেকে অভিভাবকদের আর আধার কেন্দ্রে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। সরকার সরাসরি স্কুলে গিয়েই শিশুদের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই নতুন ব্যবস্থা আগামী দুই মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো সেই সব শিশুদের কাছে পৌঁছানো যাদের বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক আপডেট (MBU) করা হয়নি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে এমন শিশুর সংখ্যা সাত কোটিরও বেশি। এই আপডেট না করার ফলে অনেক শিশুর আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে স্কুল চত্বরেই এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করা হবে, যা একদিকে যেমন সময় বাঁচাবে, তেমনই প্রক্রিয়াটিকে অনেক বেশি সুবিধাজনক করে তুলবে।
নতুন এই ব্যবস্থার মূল বিষয়গুলি:
- স্কুলভিত্তিক আপডেট: UIDAI প্রতিটি জেলায় বায়োমেট্রিক মেশিন সরবরাহ করবে, যা বিভিন্ন স্কুলে পর্যায়ক্রমে নিয়ে যাওয়া হবে। এর ফলে, স্কুলচত্বরেই শিশুদের বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি স্ক্যান) আপডেট করা সম্ভব হবে।
- খরচ: এই বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক আপডেট ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হবে। তবে, শিশুর বয়স ৭ বছর পেরিয়ে গেলে এই আপডেটের জন্য ১০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে।
- বাধ্যতামূলক আপডেট: নিয়ম অনুযায়ী, শিশুদের পাঁচ বছর বয়সে প্রথমবার এবং পনেরো বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বায়োমেট্রিক আপডেট করা বাধ্যতামূলক। সময়মতো এই আপডেট না করা হলে আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে, যার ফলে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- কেন এই আপডেট জরুরি: একটি আপডেটেড আধার কার্ড শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে ভর্তি, বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, সরকারি বৃত্তি এবং সরাসরি সুবিধা হস্তান্তর (DBT) প্রকল্পের মতো পরিষেবাগুলি পেতে একটি সক্রিয় এবং আপডেটেড আধার নম্বর থাকা আবশ্যক।
UIDAI-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে বর্তমানে এই প্রকল্পের প্রযুক্তিগত দিকগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং আগামী ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ১৫ বছর বয়সে যে দ্বিতীয় বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক আপডেটটি করতে হয়, সেটিও স্কুল ও কলেজের মাধ্যমে করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এই উদ্যোগটি শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং সরকারি পরিষেবাগুলিকে আরও সহজলভ্য করে তুলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই, সকল অভিভাবকদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা এবং সময়মতো তাদের সন্তানের আধার বায়োমেট্রিক আপডেট করানো অত্যন্ত জরুরি।