DA News: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে রাজ্য সরকার একটি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর জন্য রাজ্য সরকার প্রস্তুতি শুরু করেছে এবং খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে রাজ্যের লক্ষাধিক সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর। সাম্প্রতিক সংবাদ সূত্র থেকে যে তথ্য জানা যাচ্ছে সেগুলি আলোচনা করা হচ্ছে।
আর্থিক ব্যবস্থা এবং অর্থের উৎস
রাজ্য সরকারের কর্মীদের মোট বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। তার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার মেটাতে চলেছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড় করার জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। জানা গিয়েছে যে, রাজ্য সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্টেট গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিস-এর মাধ্যমে আরও ৪ হাজার কোটি টাকা জোগাড় করেছে। সব মিলিয়ে মোট ৮ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের হাতে এসেছে, যা প্রয়োজনীয় অর্থের ৮০ শতাংশ। বাকি ২ হাজার কোটি টাকা জোগাড় করার জন্যেও সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ডিএ মেটানোর পদ্ধতি
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই বকেয়া ডিএ কীভাবে কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, তা হল:
- কর্মরত কর্মীদের জন্য: বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশের ৮০ শতাংশ সরাসরি কর্মীদের বেতনের অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে। বাকি ২০ শতাংশ কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) অ্যাকাউন্টে জমা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কর্মীদের হাতে নগদ টাকার পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যনিধিও সুরক্ষিত থাকবে।
- পেনশনভোগীদের জন্য: পেনশনভোগী এবং ফ্যামিলি পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বকেয়া টাকাই তাদের পেনশন অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করা হবে। তাদের ক্ষেত্রে পিএফ-এ টাকা জমার কোনো বিষয় থাকছে না।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য সরকার আপাতত ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েই বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে এবং বাকি ২ হাজার কোটি টাকা জোগাড় করার জন্য কিছুটা সময় পাবে।
আইনি পর্যালোচনা
ডিএ-র একাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার প্রস্তাবটি আইনি দিক থেকে কতটা সঠিক, তা নিয়ে ইতিমধ্যে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতা তৈরি না হয় এবং আদালত অবমাননার কোনো অভিযোগ না ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অর্থ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন এবং এই সপ্তাহের মধ্যেই বকেয়া ডিএ মেটানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে, রাজ্য সরকারি কর্মীরা খুব শীঘ্রই তাদের প্রাপ্য বকেয়া ডিএ-র একাংশ পেতে চলেছেন, যা তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে सहायक হবে।
