Maternity Leave: ১ বছর হল মাতৃত্বকালীন ছুটি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, খুশি সরকারি কর্মচারীরা
মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করে দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করল সিকিম। পশ্চিমবঙ্গেও দাবি উঠছে মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি করার।
Maternity Leave: মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে এক বছর ঘোষণা করল সিকিম সরকার। সারা বিশ্বের বিভিন্ন আদালত তাদের রায়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি কে মহিলাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে ধরে। অন্যান্য রাজ্য সহ পশ্চিমবঙ্গেও মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ৬ মাস আছে। কিন্তু সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং এই ছুটির মেয়াদ এক বছর করে দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করলেন।
বুধবার সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বলেন এবার থেকে রাজ্য সরকারের মহিলা কর্মচারীরা ১২ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। এর সাথে পুরুষ কর্মীরাও পাবেন এক মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ” যাতে সন্তান জন্মানোর পর সরকারি কর্মীরা সেই নবজাতক ও পরিবারের প্রতি আরো বেশি করে যত্নশীল হতে পারেন তাই ১৯৬১ সালের মেটারনিটি বেনিফিট আইনে বদল এনে তা ১২মাস বা ৫২ সপ্তাহ করা হচ্ছে। এর সাথে পুরুষ কর্মচারীগণ এক মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা এই ছুটির সুবিধা নিতে পারবেন। “
বুধবার “সিকিম স্টেট সিভিল সার্ভিস অফিসারস এসোসিয়েশন” এ মাতৃত্বকালীন ছুটি বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে জানান কর্মীদের সুবিধার্থে ছুটির কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই নতুন নিয়মের ফলে সরকারি কর্মচারীরা সন্তান জন্মানোর পর আরও বেশি ছুটির সুবিধা পাবেন। পুরানো নিয়মে ছয় মাস বা ২৬ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হতো। এবার তা পরিবর্তন করে ১২ মাস করা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের মহিলা সরকারি কর্মচারীরা ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পান। এবং পুরুষরা পিতৃত্বকালীন ছুটি পান এক মাস। সিকিমের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর দাবি উঠছে। কারণ একজন মহিলা কর্মচারীর পক্ষে প্রেগনেন্সি থেকে শুরু করে সন্তানের ৬ মাস বয়স পর্যন্ত কাজ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়। কিন্তু সর্বমোট ৬ মাস ছুটি বরাদ্দ থাকায় অনেকেই প্রেগনেন্সির সময়টি অফিস যান এবং সন্তান জন্মানোর পর ৬ মাস ছুটি নেন। এর ফলে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে দিন গুলি কাটাতে হয়। তাই এই ছুটি বাড়ানোর একটা যুক্তিপূর্ন দাবি উঠছে পশ্চিমবঙ্গেও।