Primary TET: বিরাট সুযোগ প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য, আবেদন সংখ্যা কমার সাথে, শূন্যপদ বেড়েছে অনেকটাই
আবেদন সংখ্যা অর্ধেক এর কম হওয়ার পাশাপাশি শূন্য পদ বেড়েছে অনেকটাই।

Primary TET: প্রাইমারি টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টের জন্য আবেদনের সংখ্যা ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) ১০ ডিসেম্বর এই বছরে প্রাথমিক TET আয়োজন করতে চলেছে। সেই আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৮ অক্টোবর। এবার আবেদন সংখ্যা কমার পাশাপাশি শূন্যপদ অনেকটাই বেড়ে গেল।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। এই বিষয়ে, বোর্ড থেকে বলা হয়েছে যে, গত বছর ডিএলএড এবং বিএড প্রশিক্ষিত সকল প্রার্থীরা ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত TET পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এ বছর শুধুমাত্র ডিএলএড পাস প্রার্থীরা আবেদন করেছেন। তাই আবেদনের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তার উপর যে সমস্ত প্রার্থী গত বারের টেট পরীক্ষায় পাস করেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই আবেদনপত্র পূরণ করেন নি। অনেকে মনে করছে তার কারণ অতিরিক্ত আবেদন মূল্য। এই বছর আবেদন মূল্য ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
২০২২ সালে, প্রায় ১.৫ লক্ষ D.El.Ed এবং B.Ed প্রশিক্ষিত প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। বোর্ড সূত্রের খবর, তাদের মধ্যে প্রায় ৯৭ হাজার প্রার্থী এই বছর প্রাথমিক TET-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া এ বছর শূন্য পদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যদিও টেট পরীক্ষার সাথে নিয়োগের সরাসরি সম্পর্ক নেই জানিয়েছে পর্ষদ, তবুও শূন্যপদ বৃদ্ধি পেলে টেট পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীরা ইন্টারভিউ দিলে অনেক বেশি চাকরির সুযোগ পাবে।
দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষার পর যখন ১১ ডিসেম্বর ২০২২-এ প্রাথমিক টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তখন প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার আবেদনকারী আবেদন করেছিলেন। আর টেট পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। এবার ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া ১৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ শুরু হয়েছিল এবং আবেদন প্রক্রিয়া বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩ এ শেষ হয়।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ গত সপ্তাহে তাদের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার মডেল প্রশ্নপত্র এবং কোন বিভাগে বরাদ্দকৃত নম্বরের সংখ্যা সম্পর্কে সমস্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। গত বছরের মতো এবারও পরীক্ষার নিরাপত্তায় কোনো ফাঁক রাখতে চায় না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার্থীদের জন্য সিসিটিভি নজরদারি থেকে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গেছে।এ বছর দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের কার্যালয়ে মনিটরিংয়ের জন্য একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।