Primary TET: সকলকে বাড়তি ৬ নম্বর দিতে হবে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
আপাতত স্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দেওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Primary TET: ২০১৪ সালের সকল টেট পরীক্ষার্থীকেই বাড়তি ৬ নম্বর দিতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিলেও পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) আপত্তি ছিল। পর্ষদ আশঙ্কা করেছিল এর ফলে মেধা তালিকা ওলট-পালট হয়ে যাবে।
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) যায় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার ফলে স্বস্তি পেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। MAT 1594 (Wrong Question Case) মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।
২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে যে প্রাথমিক টেট নেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ছয়টি প্রশ্ন ভুল ছিল এমন অভিযোগ করেছিল চাকরির প্রার্থীরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে মামলা (Wrong Question Case) করা হয় চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে। এই মামলায় বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে ছয়টি প্রশ্ন ভুল আছে তা চিহ্নিত করা হয়েছিল। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন যে সমস্ত পরীক্ষার্থী ঋণাত্মক মান পেয়েছেন তাদের সবাইকে এই নম্বর দেওয়া হবে। তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অন্য চাকরি প্রার্থীরা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। চাকরির প্রার্থীদের করা এই মামলাটি বিচারপতি তালুকদারের কাছে উঠে।
বিচারপতি তালুকদার প্রত্যেক প্রাইমারি টেট (Primary TET) পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ৬ নম্বর করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আবার এই সংক্রান্ত মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) সিঙ্গেল বেঞ্চে উঠলে তিনিও সকল পরীক্ষার্থীকেই অতিরিক্ত ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে পর্ষদ এর বক্তব্য হল সকলকে ৬ নম্বর করে বাড়িয়ে দিলে মেধা তালিকার বিরাট রদবদল হয়ে যাবে। তবে ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের এই দাবি মানেনি। শেষপর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।