Teacher Promotion: এখন স্কুলের শিক্ষকরাও পদোন্নতি পাবেন, নতুন নতুন পদ সৃষ্টি হচ্ছে, এমাসেই রিপোর্ট জমা হবে
স্কুল শিক্ষকদের জন্য নতুন পদোন্নতির নীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। স্কুল কমিশনারের সভাপতিত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

Teacher Promotion: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদের অধ্যাপকদের মতো প্রমোশনের নীতি আনতে চলেছে সরকার। এই বিষয়ে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকের মতো শিক্ষকদের নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে। কোন ভিত্তিতে এই পদোন্নতি হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৬ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন চলতি মাসেই বিকাশ ভবনে জমা দেওয়া হবে।
স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতির মানদণ্ড কী? তথ্য অনুযায়ী, কোনো শিক্ষকের নিজের লেখা বই থাকলে তিনি পদোন্নতিতে বেশি সুবিধা পেতে পারেন। এটি উল্লেখযোগ্য যে বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের তাদের প্রকাশনার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্কুলের যেকোনো শিক্ষামূলক যাত্রায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের ভূমিকাও সরকার বিবেচনায় নিতে পারে।
এ ছাড়া শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে আরও অনেক মানদণ্ড বেঁধে দেওয়া হচ্ছে এই নতুন নীতিগুলিতে। তথ্য সূত্র অনুযায়ী, কোন শিক্ষক প্রধান পরীক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন, ক্লাসে পড়ালেখা কেমন চলছে, তিনি কি রুটিনের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাস করছেন, তিনি কি কোনো নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন, এসব বিষয়েও বিবেচনা করা হবে।
এগুলো নিয়ে ইতিমধ্যেই ৬ সদস্যের কমিটি নিয়মিত বৈঠক করছে। তবে শিক্ষকদের পদোন্নতির এই নতুন নীতি নিয়ে শিক্ষা মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, অধ্যাপকদের তাদের প্রকাশনার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষকদের পক্ষে এটা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।
রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ইতিমধ্যেই এর জন্য সমালোচনা শুরু করেছেন। বুধবার বিকেলে বহরমপুর থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “হঠাৎ এই বিলের কারণ তো আমরা জানি না। তবে রাজ্যের শিক্ষককূল আজ বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আজ সারা বাংলার মানুষের মুখে মুখে।”