WB DA Case: সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলা সংক্রান্ত আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এলো, সংশয় এড়াতে অবশ্যই দেখে নিন
সুপ্রিম কোর্টে চলা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর সামনে এলো। মামলার শুনানি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই মামলার সুফল পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দূর করুন।

WB DA Case: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা (DA) পাচ্ছেন। তবে সকল সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের দীর্ঘদিনের দাবি কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (DA) প্রদান করা। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) সংক্রান্ত মামলাটি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবং সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সামনে এলো।
সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফিডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িস এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র সুপ্রিম কোর্টে চলা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলা (WB DA Case) সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
প্রথমত, এই মামলার সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। একটা বিষয় সংশয় ছিল তিনি ৩ নভেম্বর মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা। এ বিষয়ে শ্যামল বাবু জানিয়েছেন বিকাশবাবুর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল, তিনি অনলাইনে কলকাতা থেকেই মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়াও আরেকটি বিষয় সংশয় এড়ানোর জন্য তিনি পরিষ্কার করে বলেন। অনেকে মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্টে চলা এই মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলায় জয়লাভ করলেও কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরাই উপকৃত হবেন। সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই মামলায় উপকৃত হবেন না। তবে এই বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
যেহেতু SAT (State Administrative Tribunal) এ শিক্ষক শিক্ষিকারা যুক্ত হতে পারবেন না তাই SAT এ এই মামলাটি কেবলমাত্র সরকারি কর্মচারীরাই করেছিলেন। তবে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল ২০০৯ সালের রোপা অনুসারে যারা বেতন পাচ্ছেন তাদের সকলের বকেয়া বেতনের জন্য এই মামলা। তাই পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছেন।
তবে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার তাদের হলফনামায় উল্লেখ করেছিল মোট তিন লক্ষ কুড়ি হাজার কর্মচারী আছেন। এখানে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের বাদ দিয়ে সংখ্যাটা ধরা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের মহার্ঘভাতা রায়, যদি কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের জন্যই হয় তবে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীরা আবার পৃথকভাবে মামলা করতে পারবেন।