WBBPE: প্রাথমিকে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে কি বাদ যাচ্ছে বি.এড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা? দেখুন সঠিক খবর
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর, বিএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আর যোগ্য নয়। তবে কি চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকেই বাদ যেতে চলেছে বিএড প্রশিক্ষিতরা?
WBBPE: ২০২২ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) সূত্রে জানা যাচ্ছে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ উঠলেই ফল প্রকাশ করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে এর মধ্যে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে d.el.ed প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা বড় জয় পেয়েছে (D.El.Ed vs B.Ed)। অপরদিকে বিএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না এমনটাই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে যেমন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ হয়েছে, তেমনি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE) এর ২০১৮ সালের গেজেট বিজ্ঞপ্তিও বাতিল হয়েছে। এই রায় অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (d.el.ed) প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাই যোগ্য।
তবে ২০২২ সালের পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বি এড এবং ডি এল এড উভয় পরীক্ষার্থীরাই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। অনেকে মনে করছেন যেহেতু পর্ষদের নোটিফিকেশন জারি হওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায় এসেছে তাই বিএড প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে এই নিয়ে ভিন্ন মত আছে।
তাছাড়া বিএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ২০২২ সালে একটি নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, বিএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে। নিচে নোটিফিকেশনটি দেওয়া হলো:-
পর্ষদ সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে বি এড প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেবে পর্ষদ। তবে রায় অনুযায়ী বিএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের বাদ পড়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।