চাকরি

22 Lakh OMR Case: OMR প্রকাশের দাবি খারিজ, ২০১৬ SSC চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আরো কঠিন হল লড়াই

22 Lakh OMR Case: ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এই মামলায় ২২ লক্ষ OMR শিট প্রকাশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যা ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি হারানো শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। এই সিদ্ধান্তটি মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।

মামলার প্রেক্ষাপট এবং সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই মামলাটি চলছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যায়। এরপর মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়। আবেদনকারীদের মূল দাবি ছিল ২২ লক্ষ OMR শিট প্রকাশ করা হোক, যাতে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা যায়।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে যে এই মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে এবং এর বিভিন্ন দিক একাধিকবার পর্যালোচনা করা হয়েছে। আদালত মনে করে, নতুন করে OMR শিট প্রকাশের কোনো প্রয়োজন নেই। বিচারপতির কথায়, “এই মামলাটি যথেষ্ট সময় ধরে ঝুলছে এবং এর সমাধানের জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা করা হয়েছে।”

পূর্ববর্তী রায় এবং আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে যে চাকরি বাতিলের বিষয়ে এর আগেও একাধিক আবেদন, রিভিউ পিটিশন এবং অন্যান্য আবেদন খারিজ করা হয়েছে। তাই নতুন করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো কারণ নেই। আদালত আবেদনকারীদের পরামর্শ দিয়েছে যে কোনো জিজ্ঞাস্য বা স্পষ্টীকরণের জন্য তারা যেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে।

মামলাটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি আবেদনকারীদের মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরামর্শও দেন। এর ফলে, OMR শিট প্রকাশের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করার যে সম্ভাবনা ছিল, তা আপাতত বন্ধ হয়ে গেল।

চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী?

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে ২০১৬ সালের এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। OMR শিট প্রকাশ না হওয়ায় যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করার প্রক্রিয়াটি আরও জটিল হয়ে গেল। এখন তাদের লড়াই কোন পথে এগোবে, তা সময়ই বলবে। তবে আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্ভবত হাইকোর্টের মাধ্যমেই করতে হবে। এই রায় নিঃসন্দেহে রাজ্য রাজনীতি এবং শিক্ষা মহলে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button