Recruitment News

32000 Teacher Case: ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলায় বড়সড় মোড়! জানুন কীভাবে কিছু শিক্ষক চাকরি ফিরে পেলেন

32000 Teacher Case: ৩২,০০০ প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে এক নতুন মোড়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলছে ডিভিশন বেঞ্চে। তবে এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক আবেদনকারী স্বস্তি পেয়েছেন এবং তাদের চাকরি সুরক্ষিত হয়েছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই মামলার বিস্তারিত আলোচনা করব এবং জানব কীভাবে কিছু শিক্ষক এই জটিল পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেলেন।

মামলার প্রেক্ষাপট

এই মামলার শুরু হয় যখন কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৭ এবং ২০২১ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ১৬,৫০০ শিক্ষকের ব্রেকআপ মার্কস প্রকাশের নির্দেশ দেন। এই মার্কস প্রকাশের পরেই দেখা যায় যে, অনেক প্রশিক্ষিত শিক্ষককেও “অপ্রশিক্ষিত” হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানা যায় যে, তাদের প্রশিক্ষণের ১৫ নম্বর যোগ করা হয়নি। এই অসঙ্গতির কারণে অনেক যোগ্য শিক্ষকের চাকরি জীবন এক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল।

আবেদনকারীদের যুক্তি ও বোর্ডের ব্যাখ্যা

  • আবেদনকারীদের দাবি: আবেদনকারীরা জানান যে, তারা ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। সেই সময়ে তারা প্রশিক্ষণহীন থাকলেও, পরে বিশেষ ডি.এল.এড. (D.El.Ed.) কোর্স সম্পন্ন করেন। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পূর্ববর্তী নির্দেশ অনুসারে, বিশেষ ডি.এল.এড. প্রার্থীদের প্রশিক্ষিত হিসেবে গণ্য করার কথা ছিল। কিন্তু সার্ভারের পুরোনো ডেটার কারণে তাদের “অপ্রশিক্ষিত” হিসেবে দেখানো হয়, যা তাদের প্রতি এক বড় অবিচার ছিল।
  • বোর্ডের ব্যাখ্যা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস জানান যে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ব্রেকআপ মার্কস প্রকাশ করতে গিয়ে এই ত্রুটি ঘটেছে। নির্দিষ্ট পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত সুবিধার অভাবে তারা সঠিক সময়ে ডেটা সংশোধন করতে পারেননি। তাই পুরোনো তালিকাটিই আপলোড করা হয়। বোর্ড এখনও এই ত্রুটি সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম পায়নি বলে জানিয়েছে।

আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

মাননীয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বোর্ডের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার বিষয়টি অনুধাবন করেন। যদিও একক বেঞ্চে এই আবেদনকারীরা আগে কোনো সুরাহা পাননি, বিচারপতি চক্রবর্তী নির্দেশ দেন যে এই আবেদনকারীদের “প্রশিক্ষিত” হিসেবে গণ্য করতে হবে।

এই রায়ের ফলে, নির্দিষ্ট আবেদনকারীরা এখন আর ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের মামলার অংশ নন। তাদের চাকরি এখন সুরক্ষিত এবং তারা “প্রশিক্ষিত” শিক্ষকদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এই সিদ্ধান্তটি সেই সমস্ত শিক্ষকদের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর, যারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার পরেও সিস্টেমের ভুলের শিকার হয়েছিলেন। এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে, বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখা কতটা জরুরি।

WBPAY

The site wbpay.in is a collaborative platform voluntarily monitored by a dedicated group of reporters of West Bengal. The site features insightful posts and articles authored by experts in various fields, ensuring high-quality content that informs and engages the community. With a focus on transparency and public service, wbpay.in aims to provide valuable resources and updated news relevant to the citizens and employees of West Bengal. For any query please mail us at [email protected]

Related Articles

Back to top button