32000 Teacher Case: ৩২,০০০ শিক্ষক থেকে বাদ পড়তে চলেছেন অনেক শিক্ষক? হাইকোর্টে আজ চূড়ান্ত শুনানি

32000 Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্টে ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা নিয়ে শুনানি চলছে। এই মামলাটি মাননীয় বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং মাননীয় বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। মামলাটি এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে প্রতিটি শুনানিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মামলার প্রেক্ষাপট
এই শুনানিটি মূলত ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলার একটি অংশ, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু প্রার্থী নিজেদের প্রশিক্ষিত হিসেবে গণ্য করার জন্য আবেদন করেছেন। এই প্রার্থীরা হলেন ডি.এল.এড ২০১৪-১৬ ব্যাচের, যাদের ফাইনাল রেজাল্ট ২০১৭ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় প্রকাশিত হয়নি। ফলে বোর্ড তাদের অপ্রশিক্ষিত হিসেবে গণ্য করেছিল। আবেদনকারীদের যুক্তি, যেহেতু তাদের ফলাফল পরে প্রকাশিত হয়েছে, তাই তাদের প্রশিক্ষিত প্রার্থী হিসেবেই গণ্য করা উচিত।
আবেদনকারীদের যুক্তি
- আবেদনকারীরা ডি.এল.এড ২০১৪-১৬ ব্যাচের এবং তারা ২০১৭ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় চূড়ান্ত ফলাফল পাননি।
- বোর্ড তাদের অপ্রশিক্ষিত হিসেবে বিবেচনা করায় তারা ৩২,০০০ চাকরি বাতিলের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
- তাদের দাবি, যেহেতু তারা পরে ফলাফল পেয়েছেন, তাই তাদের প্রথম থেকেই প্রশিক্ষিত প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হোক।
বিচারপতি চক্রবর্তীর মন্তব্য
২২শে জুলাই, ২০২৫-এ বিচারপতি চক্রবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যদি ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়, তবে আবেদনকারীরাও প্রভাবিত হবেন। তবে তিনি “suppose” শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা একটি অনুমানমূলক পরিস্থিতি বোঝায়, কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, কারণ মূল মামলা এখনো বিচারাধীন।
বর্তমান অবস্থা
মামলাটি ২৩শে জুলাই, ২০২৫-এ শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত থাকলেও সময়ের অভাবে শুনানি হতে পারেনি। অবশেষে আজ, ২৪শে জুলাই, ২০২৫-এ মামলাটি আদালতের তালিকার প্রথম দিকেই শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।
সম্ভাব্য ফলাফল
যদি আবেদনকারীরা নিজেদের প্রশিক্ষিত প্রার্থী হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন, তবে তারা ৩২,০০০ চাকরি বাতিলের তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। এর ফলে মোট বাতিল চাকরির সংখ্যা কমে আসবে। এটা আশা প্রকাশ করা হচ্ছে যে, আদালত তাদের পক্ষে রায় দেবে, যার ফলে ৩২,০০০-এর সংখ্যা কমতে পারে। এই মামলার রায় পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, তাই সকলের নজর এখন কলকাতা হাইকোর্টের দিকে।