32000 Teacher Recruitment Case: ৩২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ মামলা: শুনানির ১১তম দিনে যা যা ঘটল!

32000 Teacher Recruitment Case: ৩২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানির ১১ তম দিনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো। এই দিনের শুনানি মামলাটির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এবং বিষয় সামনে এনেছে। আজ এই মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।
Res Judicata প্রসঙ্গ:
শুনানির শুরুতে, সিনিয়র আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার “Res Judicata” নীতি নিয়ে আলোচনা করেন, যা পূর্বে নিষ্পত্তি হওয়া বিষয় পুনরায় মামলা করা থেকে বিরত রাখে। তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রিয়ঙ্কা নস্কার মামলার ১৩৯ জনের মধ্যে ২১ থেকে ২৬ জন প্রার্থী বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে প্যানেল প্রকাশ এবং সংরক্ষণ নীতি লঙ্ঘনের মামলায় অংশ নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে সেলিম আলি, রবিউল শেখ, হেমচন্দ্র শেখ, আলি হাসান সিদ্দিকী, সাবিনা ইয়াসমিন, শ্যাম সুন্দর দাস এবং নূর হুদা – এই ছয়জনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, যারা “Res Judicata” নীতির আওতায় পড়েন। আইনজীবী যুক্তি দেন যে, এই নীতি থাকা সত্ত্বেও আদালত এই মামলাগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করেনি।
Aptitude Test বিতর্ক:
শুনানিতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে অভিযোগ উঠলে বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, একই বিষয় বারবার তোলা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট বা ইন্টারভিউ রুমে ব্ল্যাকবোর্ড না থাকার অর্থ এই নয় যে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করে আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার দেখান যে, আবেদনকারীদের অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর কখনও কখনও নির্বাচিত প্রার্থীদের সমান বা তার চেয়েও বেশি ছিল, যা একক বেঞ্চের আদেশের পরিপন্থী।
অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের অবস্থা:
অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী মিঃ বন্দ্যোপাধ্যায় মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি NCTE-র ২০১৭ সালের নির্দেশিকা উল্লেখ করে বলেন যে, সমস্ত অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীকে ওই তারিখের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে এবং তারপরে আর কোনও অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। তিনি প্রশ্ন করেন, ২০২২ সালে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য দায়ের করা একটি রিট পিটিশন কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
আদালতের ভূমিকা এবং একক বিচারপতির আচরণ:
মামলার শুনানিতে আদালতের ভূমিকা এবং একক বিচারপতির আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয় যে, আদালত এই ধরনের মামলায় তদন্ত করতে পারে না বা সাক্ষী ডাকতে পারে না, শুধুমাত্র আবেদনকারীদের সুবিধার জন্য রিট পিটিশনকে শক্তিশালী করতে পারে।
কেলেঙ্কারির অভিযোগ:
TET ২০১৪ সম্পর্কিত কেলেঙ্কারির অভিযোগও আলোচনায় আসে, যেখানে বিধায়ক মহুয়া মৈত্রর নামও উল্লেখ করা হয়। তবে, স্পষ্ট করা হয় যে কেলেঙ্কারির অভিযোগটি TET পরীক্ষা নিয়ে, নিয়োগ বা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে নয়।
উপসংহার ও পরবর্তী শুনানি:
এই দিনের শুনানির মূল বিষয়গুলির মধ্যে ছিল “Res Judicata” নীতির প্রয়োগ, অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর বিতর্ক এবং অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের মামলার গ্রহণযোগ্যতা। মামলাটির পরবর্তী শুনানিও খুব শীঘ্রই হবে বলে জানানো হয়েছে, যেখানে অন্যান্য আইনজীবীরা তাদের যুক্তি পেশ করবেন।