8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন গঠনে বারবার নোটিশ, তবুও মিলছে না আধিকারিক, বিশ বাঁও জলে কর্মীদের ভাগ্য?

8th Pay Commission: কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন গঠন নিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে। বারবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও এই কমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় আধিকারিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, ২০২৬ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কাঠামো চালু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অষ্টম বেতন কমিশন গঠনে বিলম্ব কেন?
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও, পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, কমিশনের কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোট চারজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের প্রয়োজন। কিন্তু বারবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা সত্ত্বেও, আগ্রহী এবং যোগ্য আধিকারিকের আবেদন জমা পড়ছে না। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিনবার আবেদনের তারিখ বাড়ানো হয়েছে। শেষবার তারিখ বাড়িয়ে ৩১শে জুলাই করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াই যদি মসৃণভাবে না এগোয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আধিকারিকদের অনাগ্রহের কারণ কী?
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, কেন্দ্র সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা বেতন কমিশনে কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু সমস্যা হল, কমিশনে যোগ দেওয়ার আগে তাদের নিজেদের বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি (রিলিজ) নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই প্রক্রিয়া মসৃণ হয় না, ফলে ইচ্ছে থাকলেও অনেকে আবেদন করতে পারছেন না। এই জটিলতার কারণে বারবার আবেদনের সময়সীমা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্র।
কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। তাঁদের অনেকেই আশা করেছিলেন যে, লোকসভা ভোটের পরেই অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার সদর্থক পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু এখন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় এই দীর্ঘসূত্রিতা তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বিভিন্ন কর্মী সংগঠনগুলিও এই বিষয়ে সরব হতে শুরু করেছে। তাদের দাবি, সরকার অবিলম্বে এই জট কাটিয়ে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুক এবং নির্দিষ্ট সময়ে নতুন বেতন হার চালু করার বিষয়টি নিশ্চিত করুক।
যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে ২০২৬ সালে অষ্টম বেতন কমিশন চালু হওয়া তো দূরের কথা, তার গঠন প্রক্রিয়াই বিশ বাঁও জলে থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন দেখার, কেন্দ্র সরকার এই সমস্যার সমাধান করে কর্মীদের স্বস্তি দিতে পারে কিনা।