8th Pay Commission: শুধু বেতন বৃদ্ধি নয়, নতুন পেনশন স্কিমেও বড় চমক! জানুন বিস্তারিত

8th Pay Commission: নতুন পে কমিশন নিয়ে সারা দেশের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সম্প্রতি, অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। একটি আর্থিক ব্রোকারেজ ফার্ম, এমকে গ্লোবালের রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন বেতন কমিশনে কর্মীদের বেতন এবং পেনশন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। আসুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বেতন এবং পেনশন কতটা বাড়তে পারে?
এমকে গ্লোবালের রিপোর্ট অনুযায়ী, অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন এবং পেনশনে ৩০% থেকে ৩৪% পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে। এই বৃদ্ধি সপ্তম বেতন কমিশনের তুলনায় অনেক বেশি, যেখানে ২০১৪ সালে ১৪.৩% বৃদ্ধি হয়েছিল। এই বৃদ্ধির ফলে প্রায় ১.১২ কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর এবং সরকারের উপর আর্থিক প্রভাব
রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.৮৩ থেকে ২.৪৬ এর মধ্যে থাকতে পারে, যা কর্মীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এই বেতন বৃদ্ধির ফলে সরকারের উপরও একটি বড় আর্থিক বোঝা বাড়বে। অনুমান করা হচ্ছে যে অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়নের ফলে সরকারের উপর প্রায় ১.৩ থেকে ১.৮ লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা পড়বে।
অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব
কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের আয় বৃদ্ধির ফলে দেশের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। মানুষের হাতে বেশি টাকা এলে বাজারে চাহিদা বাড়বে, বিশেষ করে এফএমসিজি, ব্যাংকিং, অটোমোবাইল এবং খাদ্য খাতে। এর ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতি আসবে।
বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণ
যদিও এই বেতন বৃদ্ধির খবর কর্মীদের জন্য আনন্দের, তবে এর বাস্তবায়নে কিছু বিলম্ব হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আশা করা হয়েছিল যে অষ্টম বেতন কমিশন ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, তবে এখন মনে হচ্ছে এটি ২০২৬ সালের শেষ বা ২০২৭ সালের শুরুতে বাস্তবায়িত হতে পারে। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে:
- এখনও পর্যন্ত “টার্মস অফ রেফারেন্স” জারি করা হয়নি।
- কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়োগ এখনও হয়নি।
- কমিশন সম্পর্কিত নিয়োগের সময়সীমা একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে, যা এখন ৩১ জুলাই, ২০২৫ পর্যন্ত করা হয়েছে।
- এখনও পর্যন্ত কোনো সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি
রেলওয়ে সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মতো কর্মচারী সংগঠনগুলি এই বিলম্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে সময়মতো কমিশন গঠন, “টার্মস অফ রেফারেন্স” প্রকাশ, চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবিলম্বে নিয়োগ এবং ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে এটি বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে।
নতুন পেনশন স্কিম (UPS)
পেনশনভোগীদের জন্যও একটি বড় খবর রয়েছে। সরকার এপ্রিল ২০২৫ থেকে ইউনিফাইড পেনশন স্কিম (UPS) চালু করতে চলেছে। এটি এনপিএস এবং ওপিএসের একটি হাইব্রিড মডেল, যেখানে কর্মীদের শেষ প্রাপ্ত বেতনের ৫০% পেনশন হিসাবে নিশ্চিত করা হবে।