DA: এপ্রিলের বর্ধিত ডিএ পাননি বহু পেনশনভোগী? ৭ দিনের মধ্যে সুদ সহ বকেয়া মেটানোর কড়া চিঠি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

DA/ DR for Pensioners: সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) এবং পেনশনভোগীদের মহার্ঘ্য ত্রাণ (ডিআর) নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কর্মচারী সংগঠনগুলির টানাপোড়েন অব্যাহত। সম্প্রতি, রাজ্য সরকার ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করলেও, বহু পেনশনভোগী (Pensioners) এবং পারিবারিক পেনশনভোগী (Family Pensioners) এপ্রিল মাস থেকে সেই বর্ধিত ডিআর এর সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে বকেয়া মেটানোর দাবি জানিয়েছে।
মূল ঘটনা:
রাজ্য সরকার ফেব্রুয়ারি মাসে ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করে, যা এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, বহু পেনশনভোগী এবং পারিবারিক পেনশনভোগী এপ্রিল মাসের পেনশনের সঙ্গে এই বর্ধিত ৪ শতাংশ ডিআর পাননি। এর ফলে বহু পরিবার, যারা এই পেনশনের উপর নির্ভরশীল, আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এই বকেয়া ডিআর অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অনেক ট্রেজারি এবং পেনশন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এখনও এই বর্ধিত ডিআর চালু করেনি। মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছেন, কারা এই বকেয়া না দেওয়ার জন্য দায়ী, তা চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
দাবি ও হুঁশিয়ারি:
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রধান দাবিগুলি হল:
- অবিলম্বে সমস্ত বকেয়া ডিআর মিটিয়ে দিতে হবে।
- চিঠি দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে বকেয়া টাকা ৬ শতাংশ বার্ষিক সুদ সহ প্রদান করতে হবে।
- যারা এই বকেয়া আটকে রাখার জন্য দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঞ্চ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
প্রেক্ষাপট:
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বর্তমানে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে এখনও আন্দোলন চলছে। রাজ্যের ডিএ কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় ৩৭ শতাংশ কম। এই পরিস্থিতিতে পেনশনভোগীদের প্রাপ্য ডিআর আটকে যাওয়ায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
পেনশনভোগীরা তাঁদের জীবনের উপান্তে এসে সামান্য আর্থিক সুবিধার জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাঁদের প্রাপ্য ডিআর সময়মতো না মেটানো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকারের উচিত অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করা।