2026 Routine: একই দিনে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, চিন্তিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

2026 Routine: পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) দ্বারা আয়োজিত ২০২৬ সালের পরীক্ষার সম্ভাব্য নির্ঘণ্ট নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষত, ২০২৬ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিক (দ্বাদশ শ্রেণি) চতুর্থ সেমেস্টার পরীক্ষা ২০২৬ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। অন্যদিকে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ঐচ্ছিক বিষয়গুলির পরীক্ষাও ১২ই ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
মূল বিষয়গুলি:
- উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচী:
- তৃতীয় সেমেস্টার: ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫।
- চতুর্থ সেমেস্টার: ১২ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ (সকাল ১০টা – দুপুর ১২টা)।
- মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচী: ঐচ্ছিক বিষয়গুলির পরীক্ষা ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।
- সম্ভাব্য সমস্যা: ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ তারিখে একইসঙ্গে একাধিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে:
- মাধ্যমিকের ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা।
- উচ্চমাধ্যমিক চতুর্থ সেমেস্টারের প্রথম ভাষার পরীক্ষা।
- উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা।
- পুরানো সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাও একই সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
- একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষাও এই দিনে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিক্ষক ও অভিভাবকরা মনে করছেন যেখানে ১২ই ফেব্রুয়ারি এমনিতেই মাধ্যমিকের ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে, সেখানে উচ্চমাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ওই একই দিনে রাখার যৌক্তিকতা কতটা। এই পরিস্থিতি এড়াতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা একদিন পিছিয়ে শুরু করার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে।
এই সম্ভাব্য নির্ঘণ্ট নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একই দিনে এতগুলি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা পড়লে পরীক্ষাকেন্দ্রের অপ্রতুলতা, যাতায়াতের সমস্যা এবং পরীক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ বৃদ্ধির মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। আশা করা হচ্ছে, বোর্ডগুলি ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা মাথায় রেখে একটি সুষ্ঠু সমাধানসূত্র বের করবে।
এই সংক্রান্ত আরও তথ্য ও বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার জন্য সংশ্লিষ্ট পর্ষদ ও সংসদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।