CJI BR Gavai: নতুন প্রধান বিচারপতি বি.আর. গাভাই, এসএসসি মামলার দিকে তাকিয়ে বাংলা

CJI BR Gavai: ভারতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি (CJI) সঞ্জীব খান্না, ১৩ই মে, ২০২৫ তারিখে তাঁর কার্যকাল পূর্ণ করে অবসর গ্রহণ করেছেন। তাঁর অবসরের শেষ দিনে, বহুল আলোচিত প্রায় ২৬,০০০ চাকরি বাতিল সংক্রান্ত এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) মামলার রিভিউ পিটিশনের শুনানি তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হলোনা। এদিকে, গতকাল অর্থাৎ ১৪ই মে, ২০২৫ তারিখে দেশের ৫২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাই।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে ভারতের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রায় ছয় মাসের সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ণ কার্যকালে একাধিক উল্লেখযোগ্য মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে, পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি মামলার রিভিউ পিটিশনের শুনানি তাঁর অবসরের আগের দিন তালিকায় থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা বিচারপতি খান্নার বেঞ্চে ওঠেনি। ফলে, এই মামলার ভবিষ্যৎ এবং চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য এখন পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল।
এসএসসি চাকরি বাতিল মামলাটি রাজ্য জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ এর সঙ্গে জড়িত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। এই পরিস্থিতিতে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি খান্নার বেঞ্চে শেষ মুহূর্তেও এই মামলার শুনানি না হওয়ায় কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।
মামলার প্রেক্ষাপট:
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে একটি রিভিউ পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি খান্নার বিদায়ী বেঞ্চে।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার অবসরের পর, নতুন প্রধান বিচারপতি বি.আর. গাভাইয়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটির নিষ্পত্তি করে, সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সারাদেশ, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারবর্গ। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই এই মামলার শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করা হবে এবং ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত হবে।
এই মুহূর্তে চাকরিপ্রার্থীদের ধৈর্য ধরে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার প্রতি আস্থাশীল থাকতে হবে। আইনজীবী এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করাই বিচক্ষণতার পরিচয় হবে।