WB Arrear DA: কারা, কবে থেকে পাবেন বকেয়া ডিএ স্পষ্ট করলেন মলয় মুখোপাধ্যায়

WB Arrear DA: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মী, পেনশনভোগী এবং অনুদানপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির কর্মীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ ঘিরে নতুন করে আশার আলো। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িসের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের মতে, এই মামলার রায় অনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ পাওয়ার অধিকারী কর্মীরা।
মামলার প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি
মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিএ মামলাটি মূলত ২০০৯ সালের ১লা জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের জন্য। এই সময়কালে যে সকল কর্মী কর্মরত ছিলেন, তাঁরা সম্পূর্ণ বকেয়া ডিএ পাবেন। এমনকি যাঁরা এই সময়ের মধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন, তাঁরাও অবসরকালীন মূল বেতনের (বেসিক) উপর ভিত্তি করে ডিএ পাবেন। পেনশন প্রাপকের মৃত্যু হলে তাঁদের আইনগত উত্তরাধিকারীরা নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই বকেয়া ডিএ দাবি করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১লা জুলাই থেকে ডিএ কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও, তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার পাঁচ মাস পর তা কার্যকর করে। ফলে, প্রথম পাঁচ মাসের ডিএ বকেয়া থেকে যায়, যা এই মামলার রায়ের পর কর্মীরা পেতে পারেন।
সাম্প্রতিককালে, সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বকেয়া ডিএ-র একটি অংশ (২৫ শতাংশ) ৬ সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে এই বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ বা কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কর্মীদের মধ্যে এই রায় নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও, কবে এবং কীভাবে এই বকেয়া পরিশোধ করা হবে, সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন।
কর্মীদের প্রত্যাশা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িস সহ বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলি এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফসল হিসেবেই তাঁরা এই রায়কে দেখছেন। মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বকেয়া ডিএ গণনার পদ্ধতি এবং অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তাঁরা শীঘ্রই বিস্তারিত জানাবেন।
এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাকিয়ে আছেন রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সরকার কবে নাগাদ বকেয়া ডিএ পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং তার রূপরেখা কী হবে, সেটাই এখন দেখার। এই রায় নিঃসন্দেহে রাজ্য সরকারের উপর একটি অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে, তবে কর্মীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি পূরণে সরকারের সদিচ্ছাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।