SSC ব্রেকিং: ২৫০০০ টাকা ভাতা এবার বেকারদেরও? হাইকোর্টে মামলা করল চাকরি না পাওয়া প্রার্থীরা!

SSC ব্রেকিং: পশ্চিমবঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের ঘটনায় এক নতুন মোড়। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের রাজ্য সরকার মাসিক ভাতা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারির পর, এবার সেই একই সুবিধা দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরি না পাওয়া বেকার চাকরিপ্রার্থীরা। এই দাবিতে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রেক্ষাপট ও সরকারি পদক্ষেপ
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত এবং পরবর্তীকালে এপ্রিল ২০২৫-এ ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বনাম বৈশাখী হালদার’ মামলায় চাকরি হারানো গ্রুপ সি কর্মীদের মাসিক ২৫,০০০ টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসিক ২০,০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। এই ভাতা ১লা এপ্রিল, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরেই নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধে।
বেকার চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ও যুক্তি
যাঁরা ২০১৬ সালের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত পর্যায়ে চাকরি পাননি (ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীরা), অথবা যাঁরা কোনওভাবেই চাকরি পাননি, তাঁরা এবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁদের মূল যুক্তি হলো, যদি ‘অবৈধভাবে’ নিযুক্ত ব্যক্তিরা চাকরি হারানোর পর সরকারি ভাতা পেতে পারেন, তাহলে যাঁরা যোগ্য হয়েও চাকরি পাননি, তাঁরাও বেকারত্বের কারণে সমান ভুক্তভোগী। আবেদনকারীদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে চাকরিচ্যুত এবং চাকরি না পাওয়া উভয়পক্ষই বর্তমানে কর্মহীন, তাই তাঁদের একই দৃষ্টিতে দেখা উচিত।
মামলার বিবরণ
দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে:
- গ্রুপ সি: প্রায় ১৫ জন আবেদনকারী, যাঁদের মধ্যে বিকাশ দাস অন্যতম, তাঁরা বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ সি কর্মীদের সমতুল্য মাসিক ২৫,০০০ টাকা ভাতা দাবি করেছেন।
- গ্রুপ ডি: সুমন্ত সাহা সহ একাধিক আবেদনকারী বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীদের মতো মাসিক ২০,০০০ টাকা ভাতা চেয়েছেন।
মোট প্রায় ২২ জন বেকার চাকরিপ্রার্থী এই দুটি মামলায় সামিল হয়েছেন।
আইনি প্রক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ
কলকাতা হাইকোর্ট বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন অবকাশে রয়েছে এবং ৯ই জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই মামলা দুটি ১০ই জুন বা তার পরে শুনানির জন্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বিচারপতি সিনহা এই মামলাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পরবর্তী শুনানির দিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।
এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং আদালতের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বেকার চাকরিপ্রার্থীদের এই নজিরবিহীন দাবি রাজ্যের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতাকে আরও বাড়ালো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।