Dearness Allowance: ২৫% ডিএ না পেলে কী করবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? কর্মীদের পরবর্তী রণকৌশল কী

Dearness Allowance: সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে রাজ্য সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের একাংশ ২৫% বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন। আদালত রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু যদি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর না হয়, অর্থাৎ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যদি তাঁদের প্রাপ্য ২৫% বকেয়া ডিএ না পান, তাহলে তাঁরা কী পদক্ষেপ নেবেন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের মনে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের হুঁশিয়ারি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
ডিএ আদায়ের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে, যদি রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বকেয়া ২৫% ডিএ প্রদান না করে, তাহলে তারা বৃহত্তর ও আরও তীব্র আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। মঞ্চের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলির কথা ঘোষণা করা হয়েছে:
- নবান্ন অভিযান: রাজ্য প্রশাসনের কেন্দ্র নবান্নের দিকে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করা হবে। এই অভিযানের মাধ্যমে তারা সরাসরি রাজ্য সরকারের কাছে তাদের দাবি পৌঁছে দিতে চায়।
- গণ সমাবেশ: একটি বৃহত্তর গণ সমাবেশের ডাক দেওয়া হবে, যেখানে শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারী বা পেনশনভোগী নন, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্তরের শ্রমজীবী মানুষকে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে। এর মাধ্যমে এই আন্দোলনকে একটি গণআন্দোলনের রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
- আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি: সামগ্রিকভাবে প্রতিবাদের ঝাঁঝ আরও বাড়ানো হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি থাকতে পারে, যা পরবর্তীকালে মঞ্চের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে।
শুধু ডিএ নয়, আরও দাবি রয়েছে:
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন শুধুমাত্র বকেয়া ডিএ-র দাবিতেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের দাবিপত্রে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
- সরকারি দপ্তরে সমস্ত শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।
- রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রথা বাতিল করতে হবে এবং সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ীকরণ করতে হবে।
এই দাবিগুলি পূরণের জন্যও তাদের আন্দোলন জারি থাকবে বলে মঞ্চের নেতৃত্ব জানিয়েছে।
কর্মীদের প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষা:
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ একটি আশার আলো দেখালেও, রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত পদক্ষেপের উপরেই সবকিছু নির্ভর করছে। কর্মীরা তাকিয়ে আছেন, রাজ্য সরকার এই নির্দেশ পালন করে কিনা। যদি সরকার এই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। আগামী দিনগুলিতে এই পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই সকলের নজর থাকবে।
২৫% ডিএ প্রাপ্তি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যেমন আশা রয়েছে, তেমনই রয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দৃঢ় মানসিকতা। রাজ্য সরকার যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিএ প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ আরও একবার কর্মচারী আন্দোলনের সাক্ষী হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কর্মচারী সংগঠনগুলির ঐক্য এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।