West Bengal: বাংলায় ৩০০০-এর বেশি স্কুল ছাত্রশূন্য! দেশজুড়ে তালিকায় শীর্ষে বাংলা! এই দশার কারণ কী?

West Bengal Education: সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যার নিরিখে সমগ্র ভারতে শীর্ষে উঠে এসেছে। রাজ্যের ৩,২৫৪ টি স্কুলে একজনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি, যা শিক্ষা ব্যবস্থার এক গভীর সংকটকে নির্দেশ করে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই পড়ুয়াবিহীন স্কুলগুলিতে ১৪,৬২৭ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামো এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে।
মূল বিষয়:
- ছাত্রশূন্য স্কুলের ব্যাপকতা: পশ্চিমবঙ্গে ৩২৫৪টি স্কুল সম্পূর্ণ পড়ুয়াহীন অবস্থায় রয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই চিত্র রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থার এক উদ্বেগজনক দিক তুলে ধরেছে।
- শিক্ষক থাকলেও ছাত্র নেই: এই স্কুলগুলিতে ১৪,৬২৭ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও পড়ুয়ার অভাব, সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে একটি বড়সড় অসঙ্গতি প্রকাশ করে। যেখানে বহু স্কুলে শিক্ষকের অভাব, সেখানে পড়ুয়াশূন্য স্কুলে এত সংখ্যক শিক্ষক থাকা নীতি নির্ধারকদের পর্যালোচনার বিষয়।
- কারণ অনুসন্ধান জরুরি: কেন এই স্কুলগুলিতে পড়ুয়া নেই, তার কারণ অনুসন্ধান করা অত্যন্ত জরুরি। ভৌগোলিক অবস্থান, পরিকাঠামোগত দুর্বলতা, শিক্ষাদানের মানের অভাব, নাকি সামাজিক-অর্থনৈতিক কোনও বিশেষ কারণ এর পিছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পড়ুয়াদের স্কুলছুট হওয়ার প্রবণতা বা অন্য কোনও শিক্ষা মাধ্যমের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিও এর কারণ হতে পারে।
- সমন্বিত পদক্ষেপের আবশ্যকতা: এই সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকার, শিক্ষা দপ্তর, এবং স্থানীয় প্রশাসনকে একযোগে কাজ করতে হবে। স্কুলগুলির ভৌগোলিক ম্যাপিং, পড়ুয়াদের অনুপস্থিতির কারণ বিশ্লেষণ এবং সেই অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি বা পড়ুয়াদের নিকটবর্তী স্কুলে পাঠানোর মতো পদক্ষেপ বিবেচনা করা যেতে পারে।
ভবিষ্যতের ভাবনা:
এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র কিছু সংখ্যার হিসাব নয়, বরং রাজ্যের মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বড়সড় চ্যালেঞ্জ। একটি প্রজন্ম শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হলে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে বাধ্য। তাই, অবিলম্বে এই ছাত্রশূন্য স্কুলগুলির সমস্যা সমাধান করে প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরায় শক্তিশালী করে তুলতে হবে।