8th Pay Commission: ভালো খবর নয়! সরকারি কর্মচারীদের আরো ২ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে

8th Pay Commission: কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে। কোটি কোটি কর্মচারী এবং পেনশনভোগী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নতুন বেতন কাঠামো এবং বর্ধিত বেতনের জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই অপেক্ষা আর কতদিনের? সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পর প্রায় এক দশক কেটে গেছে, এবং এখন সকলের দৃষ্টি অষ্টম বেতন কমিশনের দিকে।
বর্তমান পরিস্থিতি
কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫ সালের ১৬ই জানুয়ারী অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন দিলেও, এখনও পর্যন্ত কমিশনের আনুষ্ঠানিক গঠন এবং মূল সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই বিলম্বের কারণে কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ কমিশনের গঠন এবং রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
কতদিন সময় লাগতে পারে?
অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, বেতন কমিশন গঠন থেকে শুরু করে তার সুপারিশ কার্যকর হওয়া পর্যন্ত একটি দীর্ঘ সময় লাগে। উদাহরণস্বরূপ, সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট তৈরি এবং বাস্তবায়নে প্রায় ২ থেকে ২.৫ বছর সময় লেগেছিল। যদি সেই ধারা বজায় থাকে, তবে অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে, যদিও এটি ২০২৬ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
কর্মীদের প্রত্যাশা
কর্মচারী ইউনিয়নগুলি দীর্ঘদিন ধরে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের মতে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বর্তমান বেতন কাঠামো আর যথেষ্ট নয়। তারা আশা করছেন যে নতুন বেতন কমিশন তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক হবে।
সরকারের অবস্থান
যদিও সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা করেনি, তবে আশা করা হচ্ছে যে শীঘ্রই এই বিষয়ে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের সাথে সাথে এই প্রক্রিয়াটি গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অষ্টম বেতন কমিশনের গঠন এবং তার সুপারিশ কার্যকর হওয়ার প্রক্রিয়াটি এখনও কিছুটা সময়সাপেক্ষ। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মী এবং পেনশনভোগীরা আশা করছেন যে সরকার তাদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে শীঘ্রই এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবে। আপাতত, সকলের নজর সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।