DA Update: ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

DA Update: কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে রাজ্য সরকারের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকার ডিএ প্রদান না করলে তারা আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন। তার এই বক্তব্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।
রাজ্য সরকারকে দেওয়া চরমসীমা
মলয় মুখোপাধ্যায় পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে, তারা জুলাই মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। তাঁর মতে, এর মধ্যে রথযাত্রার ছুটি থাকায় রাজ্য সরকারের হাতে মাত্র ৫-৬ দিন সময় রয়েছে। যদি এই সময়ের মধ্যে সরকার ডিএ প্রদানের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।
আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি
সরকার নিষ্ক্রিয় থাকলে কনফেডারেশন কী কী পদক্ষেপ নেবে, তার একটি রূপরেখাও দিয়েছেন মলয় মুখোপাধ্যায়।
- নোটিশ জারি: প্রথমে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং অর্থ সচিবকে নোটিশ দেওয়া হবে। নোটিশ দেওয়ার পর অন্তত সাত দিন অপেক্ষা করা হবে যাতে সরকার ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার সুযোগ পায়।
- সুপ্রিম কোর্টে মামলা: এরপরেও যদি রাজ্য সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের উপর আস্থা
মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ৪ঠা আগস্ট ধার্য করা হয়েছে। তবে তারা চেষ্টা করছেন যাতে শুনানির দিনটি আরও এগিয়ে আনা যায়। এর জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর মাধ্যমে একটি “মেনশন হেয়ারিং” এর আবেদন করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা তো আর সরকারের কাছ থেকে ডিএ ছিনিয়ে আনতে পারি না। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর সম্পূর্ণ আস্থাশীল। যদি রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ না মানে, তাহলে আদালতই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।”
তিনি আরও যোগ করেন যে, কনফেডারেশন প্রথম থেকেই বলে আসছে যে তারা আদালতের রায়ই মেনে নেবে। সর্বভারতীয় মূল্যসূচক অনুযায়ী বছরে দুবার ডিএ পাওয়ার যে অধিকার, তা ইতিমধ্যেই আদালত স্বীকার করে নিয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে লড়াই এক নতুন মোড় নিয়েছে। কনফেডারেশনের এই কঠোর অবস্থান এবং আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এই চরমসীমার মধ্যে কোনো পদক্ষেপ নেয়, নাকি বিষয়টি আবারও আদালত পর্যন্ত গড়ায়।