WBCHSE Notice: স্কুলই নেবে একাদশ শ্রেণীর সেমিস্টার পরীক্ষা! প্রশ্ন থেকে রেজাল্ট, সব দায়িত্ব স্কুলের

WBCHSE Notice: পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে ২০২৫ সালের একাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই নতুন নিয়মাবলীর ফলে স্কুল এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনায় প্রভাব ফেলবে।
নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির মূল বিষয়
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি, অধ্যাপক (ডঃ) চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই বছর পরীক্ষা পরিচালনার পদ্ধতিতে এক বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
স্কুলগুলির উপর নতুন দায়িত্ব
এবারের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো পরীক্ষা পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্কুলগুলির হাতে তুলে দেওয়া। এর মানে হল:
- প্রশ্নপত্র তৈরি: প্রতিটি স্কুল তাদের নিজ নিজ বিষয়ের শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করবে। বাইরে থেকে কোনো সংস্থা বা সংগঠনের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র কেনা যাবে না।
- পরীক্ষার রুটিন: শিক্ষা সংসদ কোনো নির্দিষ্ট পরীক্ষার রুটিন দেবে না। প্রতিটি স্কুল তাদের নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পরীক্ষার সময়সূচি তৈরি করবে।
- উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশ: পরীক্ষা নেওয়ার পর উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ফলাফল প্রকাশের দায়িত্বও স্কুলগুলির উপরেই থাকবে।
এই পরিবর্তনের ফলে স্কুলগুলি তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার গতি এবং প্রস্তুতির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা আয়োজন করার স্বাধীনতা পাবে।
পরীক্ষার ফরম্যাট
যেমনটি গত বছর শুরু হয়েছিল, এ বছরও প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা MCQ (একাধিক পছন্দের প্রশ্ন) ফরম্যাটেই হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের OMR (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) শিটে উত্তর দিতে হবে। এই পদ্ধতিতে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরামর্শ
- যেহেতু প্রতিটি স্কুল নিজেদের প্রশ্নপত্র তৈরি করবে, তাই ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত তাদের নিজ নিজ স্কুলের শিক্ষকদের পড়ানোর ধরনের উপর মনোযোগ দেওয়া।
- টেক্সটবুক খুঁটিয়ে পড়া এবং প্রতিটি বিষয়ের ধারণা স্পষ্ট রাখা অত্যন্ত জরুরি।
- স্কুলের ঘোষণাগুলির উপর নজর রাখতে হবে, কারণ পরীক্ষার রুটিন এবং অন্যান্য জরুরি তথ্য স্কুল থেকেই পাওয়া যাবে।
এই নতুন নিয়মাবলী একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ব্যবস্থাপনাকে আরও বিকেন্দ্রীভূত এবং স্কুল-ভিত্তিক করে তুলেছে, যা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।