DA Deadline: ডিএ মেটানোর শেষ দিন, রাজ্যকে চরম হুঁশিয়ারি কর্মচারী সংগঠনের, পাঠানো হলো আদালত অবমাননার নোটিশ

DA Deadline: আজ, ২৭শে জুন, ২০২৫, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলায় এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ২৫% বকেয়া ডিএ মেটানোর সময়সীমা আজই শেষ হচ্ছে। নির্দেশ পালনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না আসায়, কর্মচারী সংগঠন এবার সরাসরি সংঘাতের পথে হাঁটল। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে ই-মেল মারফত কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই বার্তাই আদালত অবমাননার নোটিশ হিসেবে গণ্য করা হবে।
শেষ দিনে কর্মচারী সংগঠনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ (আইএনটিইউসি)-এর পক্ষ থেকে আজ এক নির্ণায়ক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক শ্যামল কুমার মিত্র এবং মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁদের আইনজীবী শীর্ষ আদালতের নির্দেশ স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন।
এই চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে:
- মূল দাবি: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে ২৫% বকেয়া ডিএ প্রদানের জন্য সরকারি আদেশনামা প্রকাশ করতে হবে।
- চরম হুঁশিয়ারি: যদি আজই এই নির্দেশ পালন না করা হয়, তবে এই ই-মেলটিকেই আদালত অবমাননার সামিল নোটিশ হিসেবে গণ্য করা হবে।
- পরবর্তী পদক্ষেপ: এই চিঠির হার্ড কপি আগামী সোমবার সরাসরি নবান্নে গিয়ে জমা দেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কর্মচারী সংগঠনগুলি বুঝিয়ে দিল যে, তারা আর কোনোমতেই অপেক্ষা করতে রাজি নয় এবং আইনি লড়াইয়ের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
কী ছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ?
প্রসঙ্গত, গত ১৬ই মে, ২০২৫ তারিখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানিয়েছিল যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র অন্তত ২৫ শতাংশ ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। সেই সময়সীমা আজ, ২৭শে জুন, শেষ হলো। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি বা আদেশনামা জারি না হওয়ায় কর্মচারী মহলে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
সরকারের নীরবতা ও ভবিষ্যৎ জল্পনা
রাজ্য সরকার এখনও এই বিষয়ে নীরব। তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেদিকেই তাকিয়ে সব মহল। সরকারের এই নীরবতা কি আইনি লড়াইকে আরও জটিল করে তুলবে? কর্মচারী সংগঠনের পাঠানো এই নোটিশের পর রাজ্য কি ডিএ মেটানোর পথে হাঁটবে, নাকি আদালত অবমাননার মামলার সম্মুখীন হবে? এই প্রশ্নগুলিই এখন রাজ্য রাজনীতি ও প্রশাসনিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। লক্ষাধিক সরকারি কর্মী তাকিয়ে আছেন এই টানাপোড়েনের চূড়ান্ত পরিণতির দিকে।