DA Case Update: রাজ্যের মডিফিকেশন আবেদন আসলে কতটা শক্তিশালী? প্রথম দিনেই কি খারিজ হয়ে যাবে? দেখে নিন বিস্তারিত ব্যাখ্যা

DA Case Update: রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) সংক্রান্ত মামলার রায়ের মডিফিকেশন এর আবেদন করেছে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা এই মডিফিকেশন আবেদন নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। কর্মীদের মনে একটাই প্রশ্ন, রাজ্যের এই আবেদন কতটা শক্তিশালী? নাকি প্রথম দিনেই খারিজ হয়ে যাবে? আসুন, বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়া যাক।
মডিফিকেশন আবেদনের ভিত্তি কতটা দুর্বল?
রাজ্য সরকারের ডিএ মামলার মডিফিকেশন আবেদনটি একটি অত্যন্ত দুর্বল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পিছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের অবস্থানকে দুর্বল করে দিতে পারে।
- সময় চাওয়ার যুক্তির অভাব: রাজ্য সরকার ডিএ প্রদানের নিয়মাবলী তৈরির জন্য আরও ছয় মাস সময় চেয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ২০১৭ সালে স্যাট (SAT) এই নিয়ম তৈরির জন্য রাজ্যকে তিন মাস সময় দিয়েছিল। প্রায় ছয় বছর পরেও একই কারণে আবারও সময় চাওয়াটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকেই প্রকাশ করে। এই যুক্তি আদালতের কাছে ধোপে টেকার সম্ভাবনা কম।
- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য: গত ১৬ই মে, ২০২৫ তারিখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই সময়সীমা ২৬শে জুন শেষ হলেও রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ পালনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং, সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর, ২৭শে জুন মডিফিকেশন আবেদন করা হয়েছে, যা আদালত অবমাননার সামিল হতে পারে।
- লিখিত জমা দেওয়ার সুযোগের অপব্যবহার: সুপ্রিম কোর্ট উভয় পক্ষকে তাদের সমস্ত বক্তব্য লিখিতভাবে জমা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহের সময় দিয়েছিল, যা ১২ই জুন শেষ হয়। রাজ্য সরকার তাদের আর্থিক সমস্যার কথা এই সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে আদালতকে জানায়নি। দেরিতে এই আবেদন তাদের অবস্থানকে আরও দুর্বল করেছে।
টাকা ফেরত চাওয়ার অবাস্তব যুক্তি
মডিফিকেশন আবেদনে একটি অদ্ভুত বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে ডিএ-র ২৫% টাকা তারা সুপ্রিম কোর্টে জমা রাখতে চায়, যাতে ভবিষ্যতে যদি মামলায় রাজ্য জয়ী হয়, তবে কর্মীদের থেকে সেই টাকা ফেরত নেওয়া যায়। এই যুক্তিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কারণ সুপ্রিম কোর্টের ১৬ই মের নির্দেশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে মামলার ফলাফল যাই হোক না কেন, বকেয়া ডিএ প্রদানের উপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না। অর্থাৎ, কর্মীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এই ধরনের অবাস্তব যুক্তি রাজ্যের আবেদনকে আরও হাস্যকর করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মডিফিকেশন আবেদনটি আসলে সময় নষ্ট করার একটি কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। আগামী ৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ তারিখে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই হয়তো জানা যাবে এই আবেদনের ভবিষ্যৎ কী। তবে সার্বিকভাবে যা পরিস্থিতি, তাতে রাজ্য সরকারের এই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।