Teacher Recruitment Scam: অতিরিক্ত শূন্যপদেও টাকার খেলা! শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়

Teacher Recruitment Scam: কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই-এর সাম্প্রতিক বয়ানে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এক নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে যে, আপার প্রাইমারিতে অতিরিক্ত শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির শিকড় কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
সিবিআই-এর চাঞ্চল্যকর তথ্য
সিবিআই আদালতে জানিয়েছে যে, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে। তবে, এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করার জন্য আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও এখনও কোনও সবুজ সংকেত মেলেনি, যার ফলে তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও স্থগিতাদেশ
এর আগে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হলেও, উচ্চ আদালত সেই স্থগিতাদেশই বহাল রাখে। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টেও বিচারাধীন। শীর্ষ আদালত রাজ্য মন্ত্রিসভার ভূমিকা খতিয়ে দেখার বিষয়ে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো:
- টাকার লেনদেন: সিবিআই-এর মতে, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের জন্যেও প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
- তদন্তে বাধা: আদালতের অনুমতি এবং রাজ্যের অসহযোগিতার কারণে সিবিআই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না।
- নিয়োগে স্থগিতাদেশ: কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট উভয়ই এই অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
- শূন্যপদের উৎস: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর প্রায় ৬,০০০ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
ভবিষ্যৎ কী?
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ঠা জুলাই। রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ এখন আদালতের রায়ের উপর নির্ভরশীল। একদিকে যেমন যোগ্য প্রার্থীরা চাকরির আশায় দিন গুনছেন, তেমনই অন্যদিকে দুর্নীতির জাল গোটা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে রাজ্য কীভাবে বেরিয়ে আসে এবং দোষীরা শাস্তি পায় কিনা, সেদিকেই এখন সকলের নজর।