Recruitment News

32000 Teacher Case: পর্ষদ অসহযোগিতা করলে ২৬০০০ এর মতই হবে! আজ হাইকোর্টে মেগা শুনানি

32000 Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্টে আজ, ১৪ই জুলাই, ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হতে চলেছে। মাননীয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। কোর্ট নম্বর ১১ তে দুপুর ২টোর সময় এই মামলাটি শুনানির জন্য লিস্টেড হয়েছে। এই মামলাটি শুধুমাত্র ৩২,০০০ শিক্ষকের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে না, বরং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরও এর গভীর প্রভাব ফেলবে।

মামলার প্রেক্ষাপট

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে এই ৩২,০০০ শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একাধিক মামলাকারীর অভিযোগ, অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়েই এবং সংরক্ষণ নীতি না মেনেই এই নিয়োগ করা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন।

আজকের শুনানির গুরুত্ব

আজকের শুনানিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আদালত এই মামলায় একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আদালত ২০০৯ সালের নিয়োগ মডেলকে এই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার কথা ভাবতে পারে। ওই মডেলে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছিলেন। যদি সেই মডেল অনুসরণ করা হয়, তাহলে ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবেদনকারীদের আইনজীবীরাও সকলের চাকরি বাতিলের পক্ষে নন। তাদের মূল লক্ষ্য হল, যোগ্য আবেদনকারীরা যাতে চাকরি পান, তা নিশ্চিত করা। সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও যোগ্য আবেদনকারীদের চাকরির পক্ষেই সওয়াল করেছেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • আরটিআই (RTI) বিতর্ক: নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য করা আরটিআই আবেদন নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে (DPSC) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্য কাউকে দেওয়া যাবে না।
  • আদালতের ভূমিকা: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আদালতেরই রয়েছে। আবেদনকারী বা তাদের আইনজীবীরা এই প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারবেন না। আদালতের মূল লক্ষ্য হল, এই মামলার একটি স্থায়ী সমাধান করা, যাতে আর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার প্রয়োজন না হয়।
  • পর্ষদের ভূমিকা: আদালতের সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়া পর্ষদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এর আগের ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে পর্ষদের অসহযোগিতার কারণে পুরো প্রক্রিয়াটি আরও জটিল হয়ে উঠেছিল।

আজকের শুনানির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী এবং তাদের পরিবার। আদালতের সিদ্ধান্তই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। এই মামলার রায় রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

WBPAY

The site wbpay.in is a collaborative platform voluntarily monitored by a dedicated group of reporters of West Bengal. The site features insightful posts and articles authored by experts in various fields, ensuring high-quality content that informs and engages the community. With a focus on transparency and public service, wbpay.in aims to provide valuable resources and updated news relevant to the citizens and employees of West Bengal. For any query please mail us at [email protected]

Related Articles

Back to top button