Madhyamik Age Limit: ২০২৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

Madhyamik Age Limit: পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) ২০২৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার (S.E.) জন্য পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম বয়সের মানদণ্ড সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ১৪ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এই সার্কুলার (No: DS(C)/88/25) অনুসারে, পর্ষদের সভাপতির আদেশ অনুযায়ী এই নতুন নিয়মাবলী সমস্ত স্বীকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকাটি রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী দুটি সরকারি আদেশের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই ঘোষণাটি আগামী দিনের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর উপর ভিত্তি করেই ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বয়সসীমার বিস্তারিত তথ্য
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য ছাত্রছাত্রীদের বয়সের একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধান শর্তগুলি হল:
- যোগ্যতার তারিখ: যে সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্ম তারিখ ৩১শে অক্টোবর, ২০১২ বা তার আগে, শুধুমাত্র তারাই ২০২৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
- অযোগ্যতার শর্ত: যদি কোনো ছাত্র বা ছাত্রীর জন্ম তারিখ ৩১শে অক্টোবর, ২০১২-এর পরে হয়, তবে তারা এই পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবে না।
এই নিয়মটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি আদেশ দ্বারা পরিচালিত:
- সরকারি আদেশ নম্বর ৩৮০-এডন(পি), তারিখ: ৩১শে জুলাই, ১৯৯১।
- সরকারি আদেশ নম্বর ১৩৩০-এস.ই.(এস)/৮৮-১১/০৫, তারিখ: ২৮শে অক্টোবর, ২০০৫।
স্কুল ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই নিয়মাবলী কঠোরভাবে পালন করার জন্য সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
- নাম পাঠানোর নিষেধাজ্ঞা: স্কুলগুলিকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর জন্ম তারিখ নির্ধারিত তারিখের পরে, তাদের নাম যেন পর্ষদের কাছে না পাঠানো হয়।
- রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট: পর্ষদ আরও জানিয়েছে যে, যদি কোনো অযোগ্য ছাত্রছাত্রীর নাম পাঠানো হয়, তবে তাদের জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তৈরি করা হবে না। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না।
অভিভাবকদের জন্য পরামর্শ
অভিভাবকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে তারা যেন তাদের সন্তানদের জন্ম তারিখ সংক্রান্ত নথি যাচাই করে নেন এবং নিশ্চিত হন যে তাদের সন্তান ২০২৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য। স্কুলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং পর্ষদের নির্দেশাবলী সম্পর্কে সচেতন থাকা আবশ্যক। এই নিয়মের ফলে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবর্ষ এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি সঠিক সময়ে শুরু করা সম্ভব হবে।