OBC Case Hearing: SSC, কলেজ ভর্তি বিশ বাঁও জলে! সুপ্রিম কোর্টে OBC মামলার শুনানি নিয়ে বড় আপডেট

OBC Case Hearing: সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি সংরক্ষণ মামলার শুনানি ফের স্থগিত হয়ে গেল। প্রধান বিচারপতির অসুস্থতার কারণে এই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫ই জুলাই, ২০২৫-এ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, এখন তা ২২শে জুলাই, ২০২৫-এ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের চাকরিপ্রার্থী এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও হতাশা তৈরি হয়েছে।
কেন এই শুনানি এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই মামলার রায়ের ওপর পশ্চিমবঙ্গের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC), কলেজ ভর্তি এবং আরও অনেক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফল আটকে রয়েছে এই মামলার কারণে। এই রায় না আসা পর্যন্ত রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণ নীতি চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না, যার ফলে সমগ্র প্রক্রিয়াটি থমকে আছে।
শুনানির স্থগিত হওয়ার কারণ
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বেঞ্চেই এই মামলাটি শোনার কথা ছিল। যেহেতু এটি একটি নতুন মামলা, তাই প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে অন্য কোনো বেঞ্চে এটি স্থানান্তরিত করা হয়নি। শুধুমাত্র যে মামলাগুলির শুনানি আংশিকভাবে হয়ে গিয়েছিল (পার্ট-হার্ড ম্যাটার), সেগুলিই অন্য বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে।
কী কী প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে?
এই স্থগিতাদেশের ফলে একাধিক প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC): ২১শে জুলাই ফর্ম পূরণের শেষ তারিখ থাকলেও, ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়ায় অনেক প্রার্থীই ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না। ফলে এই তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
- কলেজ ভর্তি: WBCAAP পোর্টালের মাধ্যমে কলেজে ভর্তির শেষ তারিখও ১৫ই জুলাই। ওবিসি সংরক্ষণের অভাবে এই প্রক্রিয়াও স্থগিত হয়ে যেতে পারে এবং তারিখ বাড়ানো হতে পারে।
- বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল: WBJEE, JENPAS UG, GNM-ANM, JELET, এবং JECA-এর মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ফলাফল আটকে রয়েছে এই মামলার জন্য।
এই ঘটনায় রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন যে, এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কবে এই মামলার নিষ্পত্তি হবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার স্বাভাবিক হবে, সেই দিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।