Mamata Banerjee: “আদালত রাজনীতির জায়গা নয়,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলায় কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি ৪ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেল। তবে, মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আত্মদীপ’-কে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, আদালত রাজনীতির জায়গা নয়।
আদালতে যা ঘটল
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলাকারী সংস্থা ‘আত্মদীপ’-এর আইনজীবী, বর্ষীয়ান আইনজীবী মনিন্দর সিং, অ্যাডভোকেট জেনারেলের থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চান।
এই অনুরোধ শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “অ্যাডভোকেট জেনারেল অনুমতি দেবেন, তার কী নিশ্চয়তা আছে? আপনারা ধরেই নিচ্ছেন যে অনুমতি পেয়ে যাবেন! এটা আদালত, রাজনীতির জায়গা নয়। রাজনীতির যুদ্ধ রাজনীতির ময়দানেই লড়া উচিত।”
প্রধান বিচারপতির এই কড়া মন্তব্যের পর আদালত অবমাননার এই মামলার শুনানি চার সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত মামলাটি খারিজ করেনি, তবে মামলাকারী সংস্থার উদ্দেশ্য নিয়ে কড়া প্রশ্ন তুলেছে।
মামলার প্রেক্ষাপট
SSC দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে কিছু মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যকে ঘিরেই ‘আত্মদীপ’ নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে আদালতের অবমাননা হয়েছে। এই অভিযোগ নিয়েই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন
এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে মামলাকারী সংস্থাকে ভর্ৎসনা করেছে, তাতে এই মামলার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কি না, সেই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলা করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের আজকের পর্যবেক্ষণের পর সেই অভিযোগ আরও জোরালো হল।
পরবর্তী পদক্ষেপ
আপাতত চার সপ্তাহের জন্য এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মামলাকারী সংস্থাকে অ্যাডভোকেট জেনারেলের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি জোগাড় করতে হবে। তারপরই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তবে, শীর্ষ আদালতের আজকের মনোভাব বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এই ধরনের মামলাকে তারা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে নারাজ।