DA Case Update: রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা মামলা, আরও একটি আদালত অবমাননার অভিযোগে নতুন মোড়

DA Case Update: রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলা এক নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দুটি মামলা দায়ের হয়েছে, যা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি, তার পেছনের কারণ এবং আগামী দিনে কী হতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আদালত অবমাননার অভিযোগ
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুটি প্রধান কর্মচারী সংগঠন আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে।
- কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ: এই সংগঠনটি গত ২রা জুলাই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে। তবে, এই মামলায় একটি ছোটখাটো ত্রুটি ছিল। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পান্থের নাম ভুলবশত মণীশ পান্থ লেখা হয়েছিল, যা সংশোধনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
- সরকারি কর্মচারী পরিষদ: ২১শে জুলাই এই সংগঠনটিও রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পান্থের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে।
মামলার ভিত্তি কী?
এই মামলাগুলির মূল ভিত্তি হল সুপ্রিম কোর্টের একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ। গত ১৬ই মে, ২০২৫-এ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে কর্মীদের ২৫% মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযোগ, রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ মেনে চলেনি। এই নির্দেশ অমান্য করার কারণেই কর্মচারী সংগঠনগুলি আদালত অবমাননার পথে হেঁটেছে।
মামলার বর্তমান অবস্থা
মামলার বর্তমান স্থিতি থেকে স্পষ্ট যে, এটি একটি আদালত অবমাননার পিটিশন। যদিও এই নতুন মামলাগুলির জন্য এখনো পর্যন্ত আলাদা কোনো তারিখ ধার্য করা হয়নি, তবে আশা করা হচ্ছে যে, আগামী ৪ঠা আগস্ট সমস্ত সম্পর্কিত মামলাগুলির একযোগে শুনানি হতে পারে। সেই দিনই পরিষ্কার হবে যে, এই মামলা কোন দিকে এগোবে এবং রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
কর্মীদের প্রত্যাশা
রাজ্য সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার জন্য লড়াই করছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও তা না মেলায় তাদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই আদালত অবমাননার মামলা তাদের লড়াইকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। এখন সকলের নজর আদালতের পরবর্তী শুনানির দিকে। কর্মীরা আশা করছেন যে, আদালত তাদের পক্ষে রায় দেবে এবং রাজ্য সরকার দ্রুত বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেবে।
এই মামলাটি শুধুমাত্র কর্মীদের আর্থিক অধিকারের লড়াই নয়, এটি আদালতের নির্দেশ মেনে চলার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নও বটে। আগামী দিনে এই মামলার রায় রাজ্য এবং কর্মীদের সম্পর্কের উপর একটি গভীর প্রভাব ফেলবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।