Special Intensive Revision 2025: আপনার বয়স অনুযায়ী কী কী ডকুমেন্ট লাগবে, সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন

Special Intensive Revision 2025: পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকা স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন ২০২৫-এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূর করতে, এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য একটি সম্পূর্ণ গাইড হিসাবে কাজ করবে। আগামী আগস্ট ২০২৫ থেকে শুরু হতে চলা এই রিভিশন প্রক্রিয়ায় আপনার বয়স অনুযায়ী কোন কোন নথি জমা দিতে হবে, তা এখানে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হলো। আপনার জন্ম সালের ওপর ভিত্তি করে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথির তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
কোন ১১টি নথি প্রমাণ হিসাবে গণ্য হবে?
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিম্নলিখিত ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি পরিচয় ও বয়সের প্রমাণ হিসাবে জমা দেওয়া যেতে পারে:
- কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার বা কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দ্বারা কর্মচারীদের দেওয়া সচিত্র পরিচয়পত্র বা পেনশন পেমেন্ট অর্ডার।
- ভারত সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, এলআইসি বা কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দ্বারা ১লা জুলাই, ১৯৮৭-এর আগে জারি করা যেকোনো পরিচয়পত্র, সার্টিফিকেট বা নথি।
- উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা জন্ম সার্টিফিকেট।
- পাসপোর্ট।
- স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা জারি করা মাধ্যমিক বা উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট।
- উপযুক্ত রাজ্য কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা স্থায়ী ঠিকানার সার্টিফিকেট।
- অরণ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী প্রদত্ত সার্টিফিকেট।
- উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা ওবিসি/এসসি/এসটি বা অন্য কোনো জাতির সার্টিফিকেট।
- জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (যেখানে প্রযোজ্য)।
- রাজ্য বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রস্তুত করা পারিবারিক রেজিস্টার।
- সরকার দ্বারা প্রদত্ত জমি বা বাড়ির অ্যালটমেন্ট সার্টিফিকেট।
১: জন্ম ১লা জুলাই, ১৯৮৭-এর আগে
আপনার জন্ম যদি ১লা জুলাই, ১৯৮৭-এর আগে হয়ে থাকে, তবে আপনার জন্য সুখবর। আপনাকে মাত্র একটি নথি জমা দিতে হবে। এই একটি নথি হিসাবে আপনি উপরে উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি জমা দিতে পারেন। বিকল্পভাবে, যদি আপনার নাম ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় থেকে থাকে, তবে সেই তালিকার পাতার একটি কপি জমা দিলেই চলবে। সেক্ষেত্রে অন্য কোনো নথির প্রয়োজন হবে না। এই বিষয়টি মাথায় রাখলে আপনার কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে।
২: জন্ম ১লা জুলাই, ১৯৮৭ থেকে ১লা জানুয়ারি, ২০০২-এর মধ্যে
আপনার জন্ম যদি ১লা জুলাই, ১৯৮৭ থেকে ১লা জানুয়ারি, ২০০২-এর মধ্যে হয়ে থাকে, তবে আপনাকে মোট দুটি নথি জমা দিতে হবে।
নিজের জন্য: আপনাকে উপরে উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি জমা দিতে হবে। যদি ২০০২ সাল নাগাদ আপনার বয়স ১৮ হয়ে গিয়ে থাকে এবং আপনার নাম সেই ভোটার তালিকায় থাকে, তবে সেই তালিকার একটি কপিও জমা দিতে পারেন। তবে, যদি ২০০২ সালে আপনার বয়স ১৮ না হয়ে থাকে, তবে আপনাকে ১১টি নথির মধ্যে একটি অবশ্যই জমা দিতে হবে।
বাবা বা মায়ের জন্য: আপনার বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যেকোনো একজনের জন্য একটি নথি জমা দিতে হবে। এটি উপরে উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে একটি হতে পারে অথবা যদি তাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকে, তবে সেই তালিকার একটি কপিও দেওয়া যেতে পারে।
৩: জন্ম ১লা জানুয়ারি, ২০০২-এর পরে
আপনার জন্ম যদি ১লা জানুয়ারি, ২০০২-এর পরে হয়ে থাকে, তবে আপনাকে মোট তিনটি নথি জমা দিতে হবে।
নিজের জন্য: যেহেতু আপনার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই আপনাকে উপরে উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি নথি জমা দিতে হবে।
বাবার জন্য: আপনার বাবার জন্য উপরে উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে একটি অথবা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার একটি কপি (যদি নাম থাকে) জমা দিতে হবে।
মায়ের জন্য: আপনার মায়ের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ১১টি নথির মধ্যে একটি অথবা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার একটি কপি (যদি নাম থাকে) জমা দিতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি আপনাকে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন ২০২৫-এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেবে। সঠিক তথ্য যাচাই করে প্রস্তুতি নিলে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়া মসৃণভাবে সম্পন্ন হবে।