Nabanna Abhiyan: নবান্ন অভিযান নিয়ে চরম নাটক! হাইকোর্টের নির্দেশ ‘মিথ্যা রটনা’? জানুন আসল সত্যি

Nabanna Abhiyan: ২৮শে জুলাইয়ের নবান্ন অভিযান ঘিরে তীব্র বিভ্রান্তি ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একদিকে কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির আবেদনের ভিত্তিতে অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর, অন্যদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন যে হাইকোর্ট কোনো বাধাই দেয়নি এবং এটি প্রশাসনের ছড়ানো “মিথ্যা রটনা”। এই পরস্পরবিরোধী তথ্যে কর্মসূচি নিয়ে ধোঁয়াশা বেড়েছে। তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ২৮ তারিখের নবান্ন অভিযানের জোরালো কর্মসূচি চলছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ ঘিরে যা জানা যাচ্ছে
প্রাথমিকভাবে খবর আসে যে, মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির একটি আবেদনের পর কলকাতা হাইকোর্ট ২৮শে জুলাইয়ের নবান্ন অভিযানে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায় যে, পুলিশের অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশ বা মিছিল করা যাবে না এবং এই নির্দেশ অমান্য করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা অতীতে এই ধরনের কর্মসূচির ফলে ব্যবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, এই যুক্তিতেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এই রায়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই মনে করা হচ্ছিল যে কর্মসূচিটি বাতিল হয়ে গেছে।
সংগঠকদের পাল্টা দাবি ও কর্মসূচির ডাক
এই খবরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করে জানান, “২৮ তারিখের নবান্ন চলো কর্মসূচিতে কোন বাধা হাইকোর্ট দেয়নি। প্রশাসন ভয় পেয়ে মিথ্যা রটনা করছে।” তিনি এই পরিস্থিতিকে প্রশাসনের চক্রান্ত বলে দাবি করে, চাপ বাড়াতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর এই পোস্টে স্পষ্ট যে, সংগঠকরা কোনোভাবেই কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ।
বর্তমান পরিস্থিতি ও বিভ্রান্তি
এই দুই বিপরীতধর্মী দাবির ফলে সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। একদিকে আদালতের নির্দেশ, অন্যদিকে সংগঠকদের শক্তিশালী আহ্বান—এই পরিস্থিতিতে ২৮শে জুলাই ঠিক কী হতে চলেছে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তুঙ্গে। পাশাপাশি, ৯ই আগস্ট আর.জি. কর কাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে পরিকল্পিত অন্য একটি নবান্ন অভিযানের ভবিষ্যৎও এই ঘটনার উপর নির্ভর করতে পারে।