26000 Teacher Case: আজ নির্ধারিত হবে ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য! SSC মামলার রিভিউ পিটিশনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

26000 Teacher Case: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) দ্বারা আয়োজিত ২০১৬ সালের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের মামলাটি এক নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি আজ, ৫ই আগস্ট, ২০২৫, ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়, সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই মামলাটি কেবল চাকরি হারানো ২৬,০০০ ব্যক্তির ভাগ্যই নির্ধারণ করবে না, বরং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রশ্নটিও তুলে ধরেছে।
মামলার প্রেক্ষাপট
কলকাতা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ OMR শিট বিকৃতি এবং দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেয়, যার ফলে প্রায় ২৬,০০০ কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী তাদের চাকরি হারান। এই রায়ের বিরুদ্ধেই রাজ্য সরকার এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে একাধিক রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। মূল রিভিউ পিটিশনটির ডায়েরি নম্বর হল 23194/2025, যা ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫-এ দাখিল করা হয়েছিল এবং ১লা আগস্ট, ২০২৫-এ নিবন্ধিত হয়।
শুনানির প্রকৃতি নিয়ে জল্পনা
শুরুতে এই মামলার শুনানি বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের চেম্বারে হওয়ার কথা ছিল, যা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ ছিল। সাধারণত, চেম্বার শুনানিতে কেবলমাত্র বিচারপতি এবং আইনজীবীরা উপস্থিত থাকেন এবং শুনানির বিবরণ প্রকাশ্যে আসে না। তবে, সুপ্রিম কোর্টের ১লা আগস্ট, ২০২৫ তারিখের একটি সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ৪ঠা থেকে ৮ই আগস্টের মধ্যে তালিকাভুক্ত চেম্বার মামলাগুলি স্বল্প নোটিশে প্রকাশ্য আদালতে শুনানি হতে পারে। এই বিজ্ঞপ্তিটি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে একটি নতুন আশার সঞ্চার করেছে, কারণ তারা প্রকাশ্য আদালতে শুনানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। প্রকাশ্য আদালতে শুনানি হলে, মামলার প্রতিটি যুক্তি-তর্ক এবং তথ্য জনসমক্ষে আসবে, যা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
আজকের শুনানির গুরুত্ব
আজকের শুনানিটি বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার মূল চাকরি বাতিল মামলার চূড়ান্ত রায়দানকারী বেঞ্চেরও অংশ ছিলেন, যা এই শুনানির গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই মামলার সঙ্গে আরও ১৭২টি রিভিউ পিটিশন যুক্ত করা হয়েছে, যা এই মামলার ব্যাপকতা তুলে ধরে।
সমগ্র রাজ্যের নজর এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। আজকের শুনানিই নির্ধারণ করবে এই ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার আগামী দিনের পথচলা। এই মামলাটি কেবল একটি আইনি লড়াই নয়, বরং ন্যায় এবং স্বচ্ছতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।