DA Case Update: আজ দুপুর পর্যন্ত ডিএ মামলার সর্বশেষ আপডেট, আদালতে কী ঘটল?

DA Case Update: মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। আজ আদালতে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে কর্মচারী সংগঠন এবং রাজ্য সরকার নিজ নিজ পক্ষে জোরালো সওয়াল করছে। আসুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এই মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি।
মামলার শুনানির বিস্তারিত বিবরণ
আদালতে কর্মচারী সংগঠনগুলির পক্ষে ইউনিটি ফোরাম এবং কনফেডারেশন তাদের বক্তব্য তুলে ধরে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে।
ইউনিটি ফোরামের বক্তব্য
ইউনিটি ফোরামের পক্ষে করুণা ম্যাডাম বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মূলত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন:
- AICPI-এর উৎস: তিনি সর্বভারতীয় গ্রাহক মূল্য সূচক (AICPI)-এর উৎস এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
- কেরালা মডেল: তিনি বলেন যে কেরালার সিপিআই (CPI) ব্যবস্থা AICPI-এর থেকেও উন্নত।
- পে কমিশনের সুপারিশ: তিনি জোর দিয়ে বলেন যে রাজ্য সরকার একবার পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নিলে, তা কার্যকর করতে বাধ্য। বিশেষ করে ডিএ সংক্রান্ত নিয়মগুলি মানা আবশ্যক।
- বৈষম্যের অভিযোগ: তিনি দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের বঙ্গভবন যুব আবাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন এবং এই বিষয়ে RTI থেকে প্রাপ্ত তথ্য আদালতে পেশ করেন।
কনফেডারেশনের বক্তব্য
কনফেডারেশনের পক্ষের আইনজীবী বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের মূল বিষয়গুলি ছিল:
- ডিএ-র গুরুত্ব: তিনি বলেন যে ডিএ বেতনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কারণ প্রতি মাসে গ্রাহক মূল্য সূচক পরিবর্তিত হয়।
- বকেয়া মেটানোর দাবি: তিনি বলেন যে কর্মচারীদের বেতন স্থির থাকলেও, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। তাই বকেয়া ডিএ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া উচিত।
- রাজ্যের আর্থিক সংকট: তিনি রাজ্যের আর্থিক সংকটের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে মনে করেন।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয় যে তাদের ডিএ নীতি ROPA 2009-এর সাথে যুক্ত এবং এটি পরিবর্তনশীল। তারা স্বীকার করে যে ROPA 2009 সময়কালে (২০০৬-২০১৪) ডিএ দেওয়া হয়েছিল, যা “শূন্য” ডিএ-র দাবিকে খণ্ডন করে। বিচারপতি যখন ২০১৪-২০১৮ সালের বকেয়া এবং ROPA 2009-এর অধীনে বকেয়া না থাকার কারণ জানতে চান, তখন রাজ্য সরকার জানায় যে মূল বেতনের উপর ভিত্তি করে ধারণাগত বৃদ্ধি (notional increments) দেওয়া হয়েছে।
আপাতত চা বিরতির আগে পর্যন্ত মামলার শুনানি এই পর্যায়ে ছিল। পরবর্তী আপডেটের জন্য আমাদের সাথে থাকুন।