New Income Tax Bill: পাস হলো নতুন আয়কর বিল! ১২ লাখ টাকা ছাড় কি আর থাকবেনা? জেনে নিন মূল পরিবর্তনগুলি

New Income Tax Bill: লোকসভায় পাস হওয়া নতুন আয়কর বিল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এই নতুন বিলটি ১৯৬১ সালের আয়কর আইনকে প্রতিস্থাপন করার জন্য আনা হয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো আয়কর আইনকে সহজবোধ্য এবং স্বচ্ছ করে তোলা। আসুন, এই নতুন বিলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নতুন আয়কর বিলের মূল পরিবর্তনগুলি
এই বিলে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা সাধারণ করদাতাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- ভাষা ও কাঠামোর সরলীকরণ: নতুন বিলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর সরল ভাষা এবং সংক্ষিপ্ত কাঠামো। আগের প্রায় ৮০০টি ধারার পরিবর্তে এখন ৫৩৬টি ধারা রয়েছে এবং অধ্যায়গুলিকে ২৩টিতে পুনর্গঠিত করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জন্য আইন বোঝা সহজ হবে।
- পরিভাষার পরিবর্তন: ‘Previous Year’ এবং ‘Assessment Year’-এর মতো বিভ্রান্তিকর শব্দগুলির পরিবর্তে এখন ‘Tax Year‘ শব্দটি ব্যবহার করা হবে। এর মানে হলো, যে বছরের জন্য কর জমা দেওয়া হবে, সেই বছরটিকেই ‘Tax Year’ বলা হবে।
- কর কাঠামো অপরিবর্তিত: এই বিলটিতে করের কাঠামো বা ট্যাক্স রিবেটে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। অর্থাৎ, ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর যে ট্যাক্স ছাড়ের ঘোষণা আগে করা হয়েছিল, তা বজায় থাকছে।
- ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগ: আয়কর মূল্যায়ন এবং সম্মতি প্রক্রিয়াগুলিকে ফেসলেস ও ডিজিটাল-ফার্স্ট করা হচ্ছে। এর ফলে মনুষ্য হস্তক্ষেপ কমবে, স্বচ্ছতা বাড়বে এবং সৎ করদাতাদের হয়রানি কমবে।
করদাতাদের জন্য সুরক্ষা
নতুন বিলে করদাতাদের সুরক্ষার জন্যেও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
- ধর্মীয় ট্রাস্টের জন্য ছাড়: ধর্মীয় ট্রাস্টে বেনামী অনুদানকে করের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে, অন্যান্য দাতব্য ট্রাস্ট (যেমন শিক্ষা বা হাসপাতাল) -এর ক্ষেত্রে বেনামী অনুদান করযোগ্য থাকবে।
- বিলম্বিত রিটার্নেও রিফান্ড: আয়কর রিটার্ন দেরিতে জমা দিলেও কর ফেরত পাওয়া যাবে। তবে, দেরিতে ফাইল করার জন্য জরিমানা প্রযোজ্য হতে পারে।
- তথ্যের গোপনীয়তা: ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন ইমেল, সোশ্যাল মিডিয়া) অনুসন্ধানের সময় অ্যাক্সেস করার ভাষাটিকে সংযত করা হয়েছে। তবে, সরকার পরোক্ষভাবে এই ধরনের তথ্য অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হতে পারে।
এই পরিবর্তনের প্রভাব
এই পরিবর্তনগুলির ফলে বেতনভোগী ব্যক্তি এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য নিয়মকানুন সহজ হবে। ছোট ব্যবসা এবং MSME-গুলির জন্য প্রক্রিয়াগুলি আরও সহজ হবে। অলাভজনক এবং ধর্মীয় ট্রাস্টগুলি সুরক্ষা পাবে এবং স্পষ্ট আইনের কারণে কর সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস পাবে।
তবে, একটি বিতর্কিত বিষয় হলো, এই বিলটি লোকসভায় কোনো আলোচনা ছাড়াই পাস হয়েছে। রাজ্যসভায় পাস এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর এই বিলটি ২০২৬ সালের ১লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।