New GST Rules: জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, সাধারণ মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে?

New GST Rules: ভারতে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) ব্যবস্থায় একটি বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যা সাধারণ মানুষের জন্য “ডবল দিওয়ালি” উপহার হিসেবে আসতে পারে। এই নতুন প্রস্তাবে জিএসটি-র একাধিক স্ল্যাব কমিয়ে এনে ব্যবস্থাকে আরও সহজ করার কথা বলা হয়েছে, যার ফলে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমতে পারে।
বর্তমান জিএসটি কাঠামো
বর্তমানে ভারতে জিএসটি-র প্রধানত পাঁচটি স্ল্যাব রয়েছে:
- ০%: খাদ্যশস্য, তাজা ফল ও সবজির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।
- ৫%: ভোজ্য তেল এবং ১০০০ টাকার কম দামের জুতো।
- ১২%: প্রক্রিয়াজাত খাবার, মোবাইল ফোন এবং ফলের রস।
- ১৮%: সাবান এবং টুথপেস্টের মতো জিনিস।
- ২৮%: বিলাসবহুল পণ্য, গাড়ি এবং তামাকজাত দ্রব্য, যার উপর অতিরিক্ত সেসও আরোপ করা হয়।
প্রস্তাবিত নতুন জিএসটি কাঠামো
নতুন প্রস্তাবে জিএসটি-কে মূলত দুটি স্ল্যাবে আনার কথা ভাবা হচ্ছে – ৫% এবং ১৮%। এর ফলে ১২% স্ল্যাবটি তুলে দেওয়া হতে পারে। বর্তমানে ১২% স্ল্যাবের অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৯৯% পণ্যকে ৫% স্ল্যাবে এবং বাকিগুলিকে ১৮% স্ল্যাবে নিয়ে আসা হতে পারে। একইভাবে, ২৮% স্ল্যাবের অনেক পণ্যকে ১৮% স্ল্যাবে নিয়ে আসা হতে পারে, যার ফলে ১৮% স্ল্যাবটিই হবে স্ট্যান্ডার্ড রেট।
এছাড়াও, তামাকজাত দ্রব্য এবং দূষণকারী SUV-এর মতো “ডি-মেরিট” পণ্যের জন্য একটি বিশেষ ৪০% স্ল্যাব চালু করা হতে পারে। তবে, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অ্যালকোহল সম্ভবত জিএসটি-র বাইরেই থাকবে, কারণ রাজ্য সরকারগুলির রাজস্বের একটি বড় অংশ এখান থেকে আসে।
কেন এই সংস্কার?
এই সংস্কারের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে:
- সরলীকরণ: একাধিক স্ল্যাবের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং ব্যবসায়ীদের জন্য কর প্রদান প্রক্রিয়া যে জটিল হয়ে ওঠে, তা কমানো।
- ইনভার্টেড ডিউটি স্ট্রাকচারের সমাধান: অনেক ক্ষেত্রে কাঁচামালের উপর জিএসটি উৎপাদনের চূড়ান্ত পণ্যের চেয়ে বেশি হয়, যার ফলে ব্যবসায়ীদের টাকা আটকে থাকে। এই সমস্যার সমাধান করা।
- ভোগ বৃদ্ধি: কর কমলে মানুষের হাতে খরচ করার জন্য বেশি টাকা থাকবে, যার ফলে বাজারে চাহিদা বাড়বে এবং অর্থনীতি উপকৃত হবে।
- ক্ষতিপূরণ সেসের সমাপ্তি: রাজ্যগুলিকে দেওয়া ক্ষতিপূরণ সেস ২০২৬ সালের ৩১শে মার্চ শেষ হতে চলেছে, যার ফলে জিএসটি-র একটি নতুন পর্যায় শুরু হবে।
কবে থেকে কার্যকর হতে পারে?
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইঙ্গিত অনুযায়ী, এই পরিবর্তনগুলি প্রায় ২০২৫ সালের দিওয়ালির সময় কার্যকর হতে পারে। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে মন্ত্রীদের একটি দল এই বিষয়ে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে এবং সেপ্টেম্বরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।