DA Case: সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা মামলার শেষ শুনানি! কপিল সিব্বলের বিরুদ্ধে একজোট কর্মচারী সংগঠনগুলি

DA Case: মহার্ঘ ভাতা মামলা (DA Case) নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। আগামী ২৬শে আগষ্ট সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি। এই শুনানিকে কেন্দ্র করে কর্মচারী সংগঠনগুলি একজোট হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে এবং তারা জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। এই মামলার খুঁটিনাটি এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।
২৬শে চূড়ান্ত শুনানি: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
আগামী মঙ্গলবার, ২৬শে, আগষ্ট সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা মামলার চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শেষ মুহূর্তের প্রতিরক্ষার জন্য উপস্থিত থাকবেন প্রখ্যাত আইনজীবী কপিল সিবাল। অন্যদিকে, কর্মচারী সংগঠনগুলির সম্মিলিত মঞ্চ “সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ”-এর হয়ে সওয়াল করবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম। ২৬শে সকাল ৮টায়, আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে দেখা করে চূড়ান্ত প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরি করবেন।
কর্মচারী সংগঠনগুলির ঐক্যবদ্ধ রণকৌশল
এই মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলির মধ্যেকার ঐক্য। কনফেডারেশন, কর্মচারী পরিষদ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং ইউনিটি ফোরামের মতো সংগঠনগুলি তাদের সমস্ত মতভেদ ভুলে এক ছাতার তলায় এসে লড়াই করছে। তাদের আইনজীবীরা একযোগে ব্রিফিং তৈরি করছেন এবং মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ে একটি “লিখিত নোট অফ সাবমিশন” প্রস্তুত করছেন। এই সাবমিশনটি ব্যক্তিগতভাবে খসড়া এবং সংশোধন করছেন গোপাল সুব্রহ্মণ্যম, এবং তার সাথে সমন্বয় করছেন অন্যান্য আইনজীবীরা, যেমন কর্মচারী পরিষদের মিঃ পাটোয়ারী, ইউনিটি ফোরামের করুণানন্দী, কনফেডারেশনের বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফেরদৌস সামিম এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঐক্যবদ্ধ রণকৌশলের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি সুস্পষ্ট এবং শক্তিশালী যুক্তি আদালতের সামনে তুলে ধরা, যা fragmented বা বিভক্ত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো জটিলতা সৃষ্টি করতে না পারে।
রাজ্য সরকারের অবস্থান এবং বিচারিক প্রক্রিয়া
মনে করা হচ্ছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তাদের লিখিত নোট অফ সাবমিশন জমা দিয়েছে। কপিল সিবাল অন্য একটি মামলায় ব্যস্ত থাকায়, তার অনুরোধে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার, সঞ্জয় করোল এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্র শুনানির দিন পিছিয়ে ২৬শে ধার্য করেন। আদালত প্রথমে কপিল সিবালের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শুনবে, এবং তারপর গোপাল সুব্রহ্মণ্যম এবং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের যুক্তি শুনবে।
কর্মচারী মহলে জয়ের আশা এবং সার্বিক পরিস্থিতি
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এই মামলায় জয়ের বিষয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তাদের সংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জয়ের পথ প্রশস্ত করবে।
এই পরিস্থিতিতে, মহার্ঘ ভাতা মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুধুমাত্র একটি আইনি লড়াইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং এটি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকার এবং মর্যাদার লড়াইয়ের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী ২৬শে আগষ্ট সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয় কিনা।