32000 Primary Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্টে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক মামলায় আজ কী হল?, আবেদনকারীদের স্পষ্ট দাবির অভাব?

32000 Primary Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্টে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা এক নতুন মোড় নিয়েছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে এই মামলার শুনানি চলছে, যেখানে মামলাকারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে। এই মামলার সাম্প্রতিক শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারির ভূমিকা এবং আদালতের পর্যবেক্ষণ ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।
আইনজীবীর দুর্বল সওয়াল এবং বিচারপতির পর্যবেক্ষণ
সাম্প্রতিক শুনানিতে, মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি আদালতে জোরালো সওয়াল করতে ব্যর্থ হন বলে মনে করছেন অনেকে। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি তথ্যগুলিকে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে পারেননি এবং মামলার গভীরে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর ফলে, মামলাকারীদের প্রধান দাবি, অর্থাৎ চাকরি, তা যথাযথভাবে আদালতের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী আইনজীবীর সওয়ালের সময় বেশ কয়েকবার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন। তিনি সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন যে, মামলাকারীদের মূল উদ্দেশ্য কি শুধুমাত্র একটি চাকরি পাওয়া? বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী যখন “না” বলেন, তখন এজলাসে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বিচারপতির মতে, মামলাকারীদের প্রধান দাবি হওয়া উচিত ছিল চাকরি, এবং সেই দাবি স্পষ্টভাবে আদালতের সামনে রাখা উচিত ছিল।
মামলাকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে ধোঁয়াশা
আইনজীবীর এই “না” উত্তরে মামলাকারীদের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছেন যে, এর পিছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। যদি মামলাকারীদের মূল লক্ষ্যই হয় চাকরি, তাহলে কেন আইনজীবী তা সরাসরি আদালতে বলতে দ্বিধা করছেন? এই বিষয়টি মামলাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
দুর্নীতির অভিযোগ এবং চাকরির দাবি
আইনজীবী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সুপারিশপত্র আদালতে পেশ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন যে, প্যারা-টিচারদের জন্য বরাদ্দ নম্বরের সাথে দুর্নীতির সরাসরি যোগসূত্র কোথায়? ভিডিওতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র দুর্নীতি প্রমাণ করলেই মামলাকারীদের চাকরি নিশ্চিত হবে না; তাদের স্পষ্টভাবে চাকরির দাবি জানাতে হবে।
ভবিষ্যতের পথ
মামলার শুনানির এই পর্যায়ে এসে, মামলাকারীদের এবং তাদের আইনজীবীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেদের দাবি সম্পর্কে স্পষ্ট থাকা। যদি তারা সত্যিই চাকরি চান, তাহলে সেই দাবি দ্ব্যর্থহীনভাবে আদালতের সামনে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে, এই দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে তাদের খালি হাতেই ফিরতে হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, আগামী শুনানিগুলিতে মামলাকারীরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করেন কিনা এবং তাদের ভাগ্য কোন দিকে মোড় নেয়।