DA Case Update: ডিএ মামলার সর্বশেষ আপডেট! আজকের শুনানি নিয়ে যা জানা গেল

DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলাটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে কিছুটা অনিশ্চয়তা। যদিও আজ ২৬শে আগস্ট শুনানির দিন ধার্য রয়েছে, তবে বেঞ্চের আকস্মিক পরিবর্তনে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আসুন, আমরা এই মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং এর বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।
শুনানির অনিশ্চয়তা এবং তার কারণ
ডিএ মামলার শুনানি বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে চলছিল। তবে, সম্প্রতি বিচারপতি মিশ্রের জায়গায় বিচারপতি সঞ্জীব মেহতাকে বেঞ্চে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পরিবর্তনটিই অনিশ্চয়তার মূল কারণ। মামলাটির মূল শুনানিগুলির বেশিরভাগই বিচারপতি মিশ্র শুনেছেন, এবং তাঁর মামলার খুঁটিনাটি সম্পর্কে গভীর ধারণা রয়েছে। অন্যদিকে, বিচারপতি মেহতা এই মামলাটি মাত্র দু’বার শুনেছেন। ফলে, আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীরা চাইতে পারেন যে, মামলার পূর্ণাঙ্গ বিচার এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বিচারপতি মিশ্রকেই বেঞ্চে রাখা হোক।
আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন, যেমন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ, কনফেডারেশন এবং ইউনিটি ফোরামের আইনজীবীরা একজোট হয়ে মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সচেষ্ট। প্রবীণ আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং পরমজিৎ সিং পাটোয়ারিয়ার মতো ব্যক্তিত্বরা এই মামলায় কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের পক্ষে লড়াই করছেন। তাঁদের মূল লক্ষ্য হলো, যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার নিষ্পত্তি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা বকেয়া ডিএ প্রদান নিশ্চিত করা।
পেনশনভোগীদের উপর প্রভাব
এই মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে পেনশনভোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। বয়সের সাথে সাথে চিকিৎসার খরচ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটানো তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ডিএ-র টাকা পেলে তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন। এই কারণে, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা তাঁদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
যদিও বেঞ্চ পরিবর্তন নিয়ে একটি প্রযুক্তিগত প্রশ্ন উঠেছে, তবে বিচারপতি সঞ্জয় করোল বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বলে জানা গেছে। তাই আশা করা হচ্ছে যে, মামলাটি খুব বেশিদিন পিছিয়ে যাবে না। পূর্বে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মামলাটি দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর, বর্তমান বেঞ্চ এটিকে ফাস্ট-ট্র্যাক করার উদ্যোগ নিয়েছিল। এখন দেখার বিষয়, আজকের শুনানিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং মামলাটি কোন দিকে মোড় নেয়। সকলের চোখ এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে।