8th Pay Commission: সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমে যেতে পারে? নতুন বেতন কাঠামোয় অনেক ভাতা ছাঁটাই হতে চলেছে

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। বেতন কি সত্যিই বাড়বে, নাকি বিভিন্ন ভাতা ছাঁটাই করা হবে? অষ্টম বেতন কমিশনের নতুন আপডেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোয় কী কী পরিবর্তন আসতে চলেছে, তা নিয়েই আজকের এই বিস্তারিত আলোচনা।
অষ্টম বেতন কমিশন: কী পরিবর্তন আসন্ন?
কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি দশ বছর অন্তর পে কমিশন গঠন করে, যা সরকারি কর্মচারীদের বেতন এবং ভাতা সংশোধন করে। সপ্তম বেতন কমিশন ২০১৬ সালে চালু হয়েছিল এবং এখন অষ্টম বেতন কমিশনের পালা। যদিও ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এই কমিশনের ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে যে, নতুন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বা বেতনের পরিবর্তে ভাতার ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে।
সপ্তম বেতন কমিশনের সময় ১৯৬টি ভাতার পর্যালোচনা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৫২টি ভাতা বাতিল করা হয় এবং ৩৬টি ভাতাকে একত্রিত করে দেওয়া হয়। অষ্টম বেতন কমিশনেও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং ভাতা কাঠামোকে আরও সরল করতে বেশ কিছু ভাতা বাতিল বা সংশোধন করা হতে পারে।
কোন কোন ভাতা প্রভাবিত হতে পারে?
অষ্টম বেতন কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো অপ্রাসঙ্গিক ভাতাগুলি বাদ দেওয়া, বিশেষত ডিজিটাইজেশনের কারণে যেগুলির আর প্রয়োজন নেই। এর ফলে কর্মচারীদের বেসিক পে (মূল বেতন) এবং মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance – DA) বাড়তে পারে, যা পেনশন গণনার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। নিম্নলিখিত ভাতাগুলিতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে:
- ভ্রমণ ভাতা (Travel Allowance – TA): ভ্রমণ ভাতা কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হতে পারে।
- বিশেষ শুল্ক ভাতা (Special Duty Allowances): এই ভাতাগুলি বাতিল করা হতে পারে।
- আঞ্চলিক ভাতা (Regional Allowances): অন্যান্য ভাতার সাথে মিল থাকায় এগুলি বাদ দেওয়া হতে পারে।
- পুরানো বিভাগীয় ভাতা: অনেক পুরানো এবং অপ্রচলিত বিভাগীয় ভাতা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কর্মচারীদের উপর কী প্রভাব পড়বে?
এই পরিবর্তনগুলির ফলে কর্মচারীদের বেসিক পে এবং ডিএ বাড়তে পারে, কারণ ভাতাগুলির জন্য বরাদ্দ অর্থ এখন বেতনের এই দুটি মূল অংশে যোগ করা হবে। এর ফলে বেতন কাঠামো উন্নত হবে এবং মূল বেতন বাড়বে। যেহেতু পেনশন বেসিক পে এবং ডিএ-র উপর নির্ভর করে, তাই অবসরের পরেও কর্মচারীরা উপকৃত হবেন। এই নতুন ব্যবস্থা আরও কার্যকর হবে এবং কাগজপত্রের কাজ কমিয়ে ত্রুটিমুক্ত পরিষেবা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
এখনও পর্যন্ত অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা চলছে এবং আশা করা হচ্ছে যে ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের শুরুতে এই বিষয়ে নতুন আপডেট পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাতাগুলিকে ঝুঁকি, কাজের কঠোরতা এবং ডিজিটাইজেশনের সাথে যুক্ত করে আরও যুক্তিযুক্ত করা উচিত। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে দশ বছরের পরিবর্তে আরও কম সময়ের মধ্যে পে কমিশন পর্যালোচনা করা উচিত বলেও মনে করছেন অনেকে।