DA Case Today: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলার চূড়ান্ত শুনানি সুপ্রিম কোর্টে শেষ হয়েছে এবং আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায়দানের স্থগিতাদেশ রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে আশা ও উদ্বেগের এক মিশ্র অনুভূতি তৈরি করেছে। আসুন, এই চূড়ান্ত শুনানির গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো এবং তার সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
শুনানির মূল ঘটনাক্রম
এদিন সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শুরু থেকেই ছিল উত্তেজনায় ভরা। শুনানির শুরুতে রাজ্যের পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল অনুপস্থিত ছিলেন। বিচারপতিরা বেশ কয়েকবার তাঁর নাম ধরে ডাকার পর, মামলাকারী সংগঠনগুলির অন্যতম, মি. মণ্ডলের পক্ষের এক মহিলা আইনজীবী তাঁর বক্তব্য পেশ করতে শুরু করেন। প্রায় ১০-১৫ মিনিট ধরে তিনি জোরালো সওয়াল করেন। এরপরেই একে একে বক্তব্য রাখেন ইউনিটি ফোরামের আইনজীবী করুন নন্দি এবং রাজ্যের বিরোধী পক্ষের অন্যতম প্রধান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁদের সওয়াল-জবাবে শুনানির উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে।
কপিল সিবালের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
শুনানির মাঝপথে উপস্থিত হন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি খুব অল্প সময়ের জন্য বক্তব্য পেশ করেন এবং জানান যে তিনি সংক্ষেপে তাঁর যুক্তি তুলে ধরবেন। তাঁর এই সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। এরপর, মামলায় অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য পক্ষগুলিও তাদের নিজ নিজ বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরে। সবশেষে, অভিষেক মনু সিংভি জানান যে তিনি আর আদালতের সময় নষ্ট করতে চান না, যা শুনানির সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়।
আদালতের নির্দেশ ও পরবর্তী পদক্ষেপ
সকল পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, বিচারপতিরা রাজ্য সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের অতিরিক্ত লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর জবাবে, মামলাকারী সংগঠনগুলিও পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া জমা দেওয়ার সুযোগ পাবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই আদালত চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে। তবে, এই মামলায় আর কোনো শুনানি হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কর্মীদের আশা ও ভবিষ্যৎ
ডিএ মামলার রায়দান স্থগিত থাকায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই আইনি লড়াইয়ের পর তাঁরা একটি ইতিবাচক রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকারি কর্মীরা মনে করছেন, দীর্ঘ সংগ্রামের অবসান হবে এবং রায় কর্মীদের পক্ষেই আসবে। এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীর মুখে হাসি ফোটাতে পারে কিনা। এই রায়ের ওপর নির্ভর করছে তাঁদের আর্থিক ভবিষ্যৎ এবং কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।