Dearness Allowance

DA Case Update: ডিএ মামলায় কর্মচারীদের জয় কি আসন্ন? জেনে নিন ৭টি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি

DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ (Dearness Allowance) বা মহার্ঘ ভাতা মামলা এক নতুন মোড় নিয়েছে। ইউনিটি ফোরামের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি পেশ করেছেন, তাতে মনে করা হচ্ছে যে মামলার রায় কর্মচারীদের পক্ষেই আসতে পারে। এই প্রতিবেদনে আমরা সেই ৭টি যুক্তি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

ডিএ মামলার মূল ভিত্তি

ডিএ মামলাটি শুধুমাত্র একটি আর্থিক লড়াই নয়, এটি সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের লড়াই। সর্বভারতীয় মূল্যবৃদ্ধি সূচকের (AICPI) উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পেলেও, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা সেই হারে ডিএ পান না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের লড়াই। আসুন, দেখে নেওয়া যাক কোন কোন যুক্তির উপর ভিত্তি করে কর্মচারীরা জয়ের আশা দেখছেন।

১. সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়

সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতির একটি বেঞ্চের রায় অনুযায়ী, যদি সরকার পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নেয়, তবে তা সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য কার্যকর করতে বাধ্য। এই রায় ডিএ মামলার একটি অন্যতম প্রধান ভিত্তি।

২. কেন্দ্র ও রাজ্যের নিয়মের সাদৃশ্য

ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়মাবলী 거의 এক। তাই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।

৩. তহবিলের অভাব কোনও অজুহাত নয়

সরকার প্রায়শই তহবিলের অভাবের কথা বলে ডিএ এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় অনুযায়ী, তহবিলের অভাব ডিএ না দেওয়ার কোনও বৈধ কারণ হতে পারে না।

৪. “স্লাইডিং স্কেল” ধারণা

ডিএ গণনার ক্ষেত্রে “স্লাইডিং স্কেল” একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা মূল্যবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিএ নির্ধারণ করে। হিন্দুস্তান টাইমস, হাইড্রো ইঞ্জিনিয়ার্স এবং বেঙ্গল কেমিক্যালসের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই ধারণা প্রয়োগের উদাহরণ রয়েছে।

৫. “রেস জুডিকাটা” (Res Judicata)

কলকাতা হাইকোর্ট এর আগে ডিএ মামলায় যে রায় দিয়েছিল, রাজ্য সরকার তাকে উচ্চতর আদালতে চ্যালেঞ্জ জানায়নি। আইন অনুযায়ী, এর ফলে “রেস জুডিকাটা” নীতি প্রযোজ্য হয়, অর্থাৎ বিষয়টি ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।

৬. কেরালার উদাহরণ

কেরালার ডিএ নির্ধারণ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেরালা সহ ১৭টি রাজ্য তাদের নিজস্ব CPI সূচক ব্যবহার করে, AICPI নয়। এছাড়াও, কেরালা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পে স্কেল সংশোধন করে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ভিন্ন।

৭. মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন

ডিএ না দেওয়াকে কর্মচারীদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই যুক্তিটিও আদালতে জোরালোভাবে পেশ করা হয়েছে।

ভবিষ্যতের পদক্ষেপ

কর্মচারী সংগঠনগুলি আশা করছে যে সুপ্রিম কোর্ট তার বিশেষ ক্ষমতা (Article 142) প্রয়োগ করে এই মামলায় সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার করবে। উপরের যুক্তিগুলো বিবেচনা করলে, ডিএ মামলায় পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের জয় লাভের সম্ভাবনা প্রবল। এখন শুধুমাত্র রায়ের অপেক্ষা।

Sources: Supreme Court of India

WBPAY

The site wbpay.in is a collaborative platform voluntarily monitored by a dedicated group of reporters of West Bengal. The site features insightful posts and articles authored by experts in various fields, ensuring high-quality content that informs and engages the community. With a focus on transparency and public service, wbpay.in aims to provide valuable resources and updated news relevant to the citizens and employees of West Bengal. For any query please mail us at askwbpay@gmail.com

Related Articles

Back to top button
×