SSC Exam: নতুন করে পরীক্ষা হলেও ফের পরীক্ষা বাতিলে সরব চাকরিহারাদের একাংশ

SSC Exam: এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক যেন শেষই হচ্ছে না। নতুন করে পরীক্ষা হলেও, চাকরিহারাদের একাংশ আবারও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করেছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং তার বিস্ফোরক মন্তব্যে এই বিতর্ক এক নতুন মোড় নিয়েছে।
চাকরির দাবিতে পথে চাকরিপ্রার্থীরা
শুক্রবার দুপুরে করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে এসএসসি ভবন পর্যন্ত একটি বিশাল মিছিল বের হয়। এই মিছিলে শুধু চাকরিহারারাই নন, সদ্য পরীক্ষা দেওয়া চাকরিপ্রার্থীরাও পা মেলান। তাদের মূল দাবি ছিল সমতা। চাকরিহারা প্রার্থীদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, আসনের সংখ্যাও বাড়াতে হবে বলে তারা দাবি করেন। আন্দোলনকারীদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইন্টারভিউ লিস্ট বেরোনোর আগে পর্যন্ত শূন্যপদ আপডেট করা যেতে পারে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিস্ফোরক মন্তব্য
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার থেকে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই সাক্ষ্য দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। তিনি আদালতে দাবি করেন যে, বেআইনি নিয়োগের জন্য তার ওপর চাপ আসত। তিনি সরাসরি মুকুল রায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন। তার মতে, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরোক্ষে চাপ দিতেন। এই মন্তব্যের পরই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
দুর্নীতির গভীরতা এবং রাজনৈতিক তরজা
চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। বিরোধীরা শাসকদলকে আক্রমণ শানিয়েছেন, অন্যদিকে শাসকদল এর পেছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। চিত্তরঞ্জন বাবু আরও প্রশ্ন তুলেছেন যে, ওএমআর শিটের সঙ্গে কার্বন কপি দেওয়ার নিয়ম কেন বন্ধ করা হয়েছিল এবং পরে আবার কেন চালু করা হল। তার মতে, কার্বন কপি থাকলে যোগ্য প্রার্থীদের খুঁজে বের করা যেত।
ভবিষ্যতের পদক্ষেপ
পুজোর পর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর সম্ভাবনা রয়েছে এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ইন্টারভিউ শুরু হতে পারে। কিন্তু, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আবারও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, নদিয়া এবং জঙ্গিপুরের মতো বিভিন্ন জেলায় পরীক্ষা চলাকালীন গণ টোকাটুকি হয়েছে এবং মোবাইল ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষায় বসার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে, এসএসসি পরীক্ষা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক যে আরও বাড়বে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।