TET 2014 Scam: TET 2014-এর কোনো আসল OMR শিট নেই, বিস্ফোরক অভিযোগ আইনজীবীর

TET 2014 Scam: পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষা নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবী ফিরদৌস সামিম। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন যে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার কোনো আসল বা মূল OMR শিট পর্ষদের কাছে নেই। যা আছে, তা সবই সম্পাদনাযোগ্য (editable) কপি। এই অভিযোগ রাজ্যের শিক্ষা মহলে এক নতুন বিতর্কের ঝড় তুলেছে এবং হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে।
OMR কেলেঙ্কারির চাঞ্চল্যকর তথ্য
আইনজীবী ফিরদৌস সামিমের মতে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার OMR শিটগুলির কোনো মিরর ইমেজ বা অপরিবর্তনযোগ্য কপি সংরক্ষণ করা হয়নি। এর ফলে, পরীক্ষার্থীদের দ্বারা জমা দেওয়া মূল উত্তরপত্রের কোনো হদিশ নেই। তাঁর অভিযোগ, যে কপিগুলি বর্তমানে পর্ষদের কাছে রয়েছে, সেগুলি সহজেই পরিবর্তন করা যেত এবং হয়েছেও। এর মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তাঁর বয়ান অনুযায়ী, এই পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিল এস. বসুরায়ন অ্যান্ড কোম্পানি (S. Basu Roy & Company) নামক একটি বেসরকারি সংস্থা। OMR শিট মূল্যায়ন থেকে শুরু করে প্রার্থী বাছাই পর্যন্ত সমস্ত কাজই এই সংস্থাটি করেছিল। আইনজীবী সামিমের কথায়, যেহেতু আসল OMR শিট নেই, তাই নম্বরের কারচুপি করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল।
এই অভিযোগের প্রভাব কী হতে পারে?
এই অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তবে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে একটি বড়সড় প্রশ্ন উঠবে। এর ফলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ঘটতে পারে:
- আইনি জটিলতা: সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই যোগ্য প্রার্থীরা আদালতে গেছেন এবং নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলেছেন।
- চাকরির ভবিষ্যৎ: যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তদন্তের ফলস্বরূপ অনেকের চাকরি বাতিলও হতে পারে।
- বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট: পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। আগামী দিনের পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর এর গভীর প্রভাব পড়বে।
এই ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার এক অন্ধকার দিককে তুলে ধরেছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী দিনে তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয় এবং হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ কী হয়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই বিতর্কের জল সহজে থামছে না এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে চলেছে।