DA Case Update: ডিএ মামলায় কর্মচারীদের লিখিত সাবমিশন, চূড়ান্ত দাবিতে চাপে রাজ্য সরকার?

DA Case Update: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কনফেডারেশন অফ স্টেট্ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ সুপ্রিম কোর্টে একটি চূড়ান্ত লিখিত সাবমিশন জমা দেওয়া হয়েছে, যা এই মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই প্রতিবেদনে আমরা ডিএ মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং কর্মচারীদের দাবির মূল ভিত্তিগুলো তুলে ধরব।
মামলার প্রেক্ষাপট
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবি জানিয়ে আসছেন। এই মামলাটি রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (SAT) থেকে শুরু করে কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কর্মচারীদের মূল অভিযোগ, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত ডিএ-র হার থেকে তাদের বঞ্চিত করছে, যা তাদের আইনত অধিকার।
কর্মচারীদের মূল যুক্তি
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া লিখিত সাবমিশনে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কনফেডারেশন অফ স্টেট্ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো:
- ডিএ একটি অধিকার, ভিক্ষা নয়: কর্মচারীদের আইনজীবীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ডিএ কোনো দয়ার দান নয়, এটি কর্মচারীদের একটি আইনত অধিকার। কলকাতা হাইকোর্টও এর আগে এক রায়ে ডিএ-কে কর্মচারীদের অধিকার হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছিল।
- কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবি: কর্মচারীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার যে হারে তাদের কর্মীদের ডিএ প্রদান করে, রাজ্য সরকারকেও সেই একই হারে ডিএ দিতে হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ-র হারের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে।
- ROP Rules 2009-এর উল্লেখ: রাজ্য সরকারের নিজস্ব রুলস অফ পে (ROP) 2009 অনুযায়ী, AICPI (All India Consumer Price Index)-এর ভিত্তিতে ডিএ নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। কর্মচারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার সেই নিয়ম মানছে না।
- অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বৈষম্য: দিল্লি এবং চেন্নাইতে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেক বেশি হারে ডিএ পান। এই বৈষম্যকে তুলে ধরে কর্মচারীরা তাদের দাবির ন্যায্যতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।
- রাজ্য সরকারের গড়িমসি: কর্মচারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বারবার ডিএ মামলাকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে এবং সঠিক সময়ে ডিএ প্রদান করছে না।
অবশ্যই দেখুন:
রাজ্য সরকারের অবস্থান
অন্যদিকে, রাজ্য সরকার আর্থিক সংকটের কথা বলে আসছে। তাদের যুক্তি, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদানের জন্য অনুকূল নয়। রাজ্য সরকার ডিএ-কে তাদের विवेচনাধীন বিষয় বলে মনে করে।
মামলার ভবিষ্যৎ
কর্মচারীদের এই চূড়ান্ত সাবমিশন ডিএ মামলার গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। এখন সকলের নজর সুপ্রিম কোর্টের দিকে। সর্বোচ্চ আদালত কোন রায় দেয়, তার ওপরই নির্ভর করছে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর ভবিষ্যৎ। এই মামলার রায় শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য নয়, অন্যান্য রাজ্যের জন্যও একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। কর্মচারীরা আশাবাদী যে, সুপ্রিম কোর্ট তাদের অধিকারকে মান্যতা দেবে এবং রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেবে।