ITR Filing: ITR ফাইলের তারিখ মিস করেছেন? জরিমানা ছাড়া রিটার্ন জমা দেওয়ার উপায় আছে কি? জানুন বিস্তারিত

ITR Filing: ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (ITR) ফাইল করার শেষ তারিখ ছিল ১৬ই সেপ্টেম্বর। আপনি কি এই তারিখের মধ্যে আপনার রিটার্ন জমা দিতে পারেননি? চিন্তা করবেন না, এখনও আপনার জন্য সুযোগ রয়েছে। আয়কর আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে যারা রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তারা বিলম্বিত রিটার্ন (belated return) ফাইল করতে পারেন। তবে এর জন্য কিছু শর্ত এবং জরিমানা প্রযোজ্য হবে। এই প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বিলম্বিত রিটার্ন (Belated Return) কী?
আয়কর আইন অনুসারে, যদি কোনো করদাতা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হন, তবে তাদের একটি বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হয়। মূল্যায়ন বছর (assessment year) শেষ হওয়ার আগে বা মূল্যায়ন সম্পূর্ণ হওয়ার আগে, যেটি আগে হয়, তার মধ্যে এই রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, আপনি ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত আপনার বিলম্বিত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
দেরিতে ITR ফাইল করার পরিণতি
যদিও বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ রয়েছে, তবে এর জন্য আপনাকে কিছু পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। এগুলি হল:
লেট ফাইলিং ফি
আয়কর আইনের ধারা 234F অনুযায়ী, দেরিতে ITR ফাইল করার জন্য আপনাকে লেট ফি দিতে হবে।
- যদি আপনার মোট আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হয়, তবে আপনাকে ১,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
- যদি আপনার মোট আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তবে জরিমানার পরিমাণ হবে ৫,০০০ টাকা।
কর ব্যবস্থা পছন্দের সীমাবদ্ধতা
যারা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে রিটার্ন ফাইল করেন, তারা তাদের সুবিধা অনুযায়ী পুরনো বা নতুন কর ব্যবস্থার মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি দেরিতে রিটার্ন ফাইল করেন, তবে আপনাকে বাধ্যতামূলকভাবে নতুন কর ব্যবস্থার অধীনেই রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আপনার জন্য পুরনো কর ব্যবস্থা বেশি সুবিধাজনক হলেও আপনি তা বেছে নিতে পারবেন না।
ট্যাক্স রিফান্ডের উপর কম সুদ
যদি আপনার ট্যাক্স রিফান্ড প্রাপ্য হয়, তবে দেরিতে রিটার্ন ফাইল করার কারণে আপনি কম সুদ পাবেন। সাধারণত, যারা সময়মতো রিটার্ন দাখিল করেন, তারা এপ্রিল মাস থেকে রিফান্ড পাওয়ার দিন পর্যন্ত সুদ পান। কিন্তু দেরিতে ফাইল করলে, আপনি যেদিন রিটার্ন ফাইল করবেন, সেদিন থেকে রিফান্ড পাওয়ার দিন পর্যন্ত সুদ পাবেন। এর ফলে আপনার প্রাপ্য সুদের পরিমাণ কমে যাবে।
কী করা উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, করদাতাদের শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা না করে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই রিটার্ন দাখিল করার প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। আপনার ফর্ম 16/16A, ফর্ম 26AS, এবং AIS (Annual Information Statement)-এর মতো সমস্ত নথি গুছিয়ে রাখুন এবং সময়মতো আপনার রিটার্ন দাখিল করুন। এতে আপনি শুধু জরিমানাই এড়াতে পারবেন না, বরং মানসিক চাপ থেকেও মুক্ত থাকতে পারবেন।
সুতরাং, আপনি যদি এখনও আপনার ITR ফাইল না করে থাকেন, তাহলে আর দেরি না করে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে আপনার বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল করুন এবং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আপনার কর্তব্য পালন করুন।