পশ্চিমবঙ্গ

Special Intensive Revision: সামনেই SIR, তার আগেই পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশনে নতুন নিয়োগ

Special Intensive Revision: সামনেই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR), আর তার আগেই পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন নিয়োগ করা হলো। ভারতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) অরুণ প্রসাদকে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (ACEO) এবং হরিশঙ্কর পানিক্করকে যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (JCEO) হিসেবে নিয়োগ করেছে। এই নিয়োগ রাজ্যের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন নিয়োগের প্রেক্ষাপট

রাজ্যে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) শুরু হওয়ার ঠিক আগে এই নিয়োগগুলি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকাকে আরও স্বচ্ছ এবং ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া এবং নতুন ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই সময়ে করা হয়। তাই এই প্রক্রিয়া শুরুর আগে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের নিয়োগকে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নবনিযুক্ত আধিকারিকদের পরিচয়

  • অরুণ প্রসাদ: তিনি ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের একজন আইএএস অফিসার। তার অভিজ্ঞতা রাজ্যের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও মসৃণ করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  • হরিশঙ্কর পানিক্কর: তিনি ২০১৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার। তার মতো তরুণ এবং দক্ষ আধিকারিকের নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের কাজে নতুন গতি আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই দুই আধিকারিককে রাজ্য সরকারের পাঠানো নামের তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছে।

কেন এই নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ?

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ব্যবস্থা বরাবরই সংবেদনশীল এবং জটিল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এই নতুন নিয়োগগুলি সেই প্রস্তুতিরই একটি অংশ। এই আধিকারিকদের উপর ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে শুরু করে নির্বাচন পরিচালনা পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকবে। তাদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা রাজ্যের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

এছাড়াও, নির্বাচন কমিশন ডেপুটি চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার পদের জন্যও রাজ্য সরকারের কাছে নতুন করে তিনটি নামের তালিকা চেয়েছে। এই পদে এমন আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে যাদের নির্বাচনী কাজে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এই নিয়োগগুলি পশ্চিমবঙ্গের আগামী দিনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। এর ফলে রাজ্যের নির্বাচনী ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং কার্যকর হয়ে উঠবে, যা গণতন্ত্রের জন্য একটি অত্যন্ত শুভ সঙ্কেত।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button